মধ্য বয়স্কদের বা এর চেয়ে যারা বড় তাদের হাড়ে ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে দৈহিক গঠনের পরিবর্তন আসে। পরিশ্রম কম করলে পেশীর আকার ছোট হয়ে যায়, অস্থির ঘনত্ব কমে যায় যার ফলে খুব সহজেই দেহের বিভিন্ন অংশে ফ্র্যাকচার হতে পারে। নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে ফ্র্যাকচার হওয়ার সম্ভাবনা কমানো সম্ভব। আবার কোনো মারাত্মক অন্তর্নিহিত রোগের জন্যও হাড়ে ব্যথা হতে পারে। কোনো ধরনের ইনফেকশন, রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হলে বা ক্যান্সার হলেও হাড়ে ব্যথা হয়। এই সমস্যাটি অবহেলা করা উচিৎ নয়। হাড়ে ব্যথা হলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
উত্তরঃ মেনোপোজের কারণে হাড়ে ব্যথা হতেও পারে বা আবার নাও হতে পারে। মেনোপোজের পর অনেক মহিলাই বলে থাকেন যে তাদের হাড়ে ব্যথা হয়েছে, তবে তা অস্থিসন্ধির ব্যথা নাও হতে পারে।
হেলথ টিপস্
নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ
অস্টিওপরোসিস হওয়ার ঝুকিপূর্ণ বিষয়গুলো যেমন-বয়স, লিঙ্গ, পারিবারিক সূত্র, জাতি, দৈহিক গঠন, মাসিকের সময়, দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অভ্যাস ইত্যাদি বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে।
জেনেটিক ও বংশগত বৈশিষ্ট্যগুলো খেয়াল রাখতে হবে। কেননা, পরিবারের অন্য কোনো সদস্য বিশেষ করে মাতৃসম্বন্ধীয় কোনো সদস্যের যদি অস্টিওপরোসিস বা ফ্র্যাকচারের সমস্যা থাকে তাহলে ব্যক্তিকে খাওয়া দাওয়া ও শারীরিক অনুশীলনের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
বয়স ৩০ হওয়ার পর অস্থি ক্ষয় হতে শুরু করে। ডেক্সা স্ক্যান (DEXA scan) নামক এক পরীক্ষার মাধ্যমে অস্থির শক্তি পরিমাপ করা হয়। বোন মিনারেল ডেনসিটি নিয়মিত পরিমাপ করতে হবে।
শারীরিক অনুশীলনের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে।