বন্ধ্যাত্ব (Infertility)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

সন্তান ধারণের অক্ষমতাকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়। কোনো ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ না করার পরও এক বছর পর্যন্ত কোনো দম্পতি সন্তান ধারণে ব্যর্থ হলে, এ অবস্থাকে বন্ধাত্ব্য বলে চিহ্নিত করা হয়। মহিলা ও পুরুষের যেকোনো একজন বা উভয়ই বন্ধাত্ব্যের জন্য দায়ী হতে পারে। মহিলাদের মধ্যে বন্ধাত্ব্যের কারণ নির্ণয় করা খুব জটিল। তবে এ সমস্যার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে  সবসময় বন্ধ্যাত্বের জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। অনেক দম্পতিই কোনো ধরণের চিকিৎসা ছাড়াই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পায় ও স্বাভাবিক নিয়মে সন্তান ধারণ করতে পারেন।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে-

  • বয়সঃ বয়স বাড়ার সাথে সাথে, বিশেষ করে ত্রিশের মাঝামাঝি সময়ে, ফলিকলের পরিমাণ দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। যার ফলে উৎপাদিত ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণাগুণ হ্রাস পেতে থাকে। এ কারণে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার দেখা দেয় ও গর্ভপাতের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
  • ধূমপান ও অ্যাকোহলের ব্যবহারঃ ধূমপানের কারণে সার্ভিক্স ও ফেলোপিয়ান টিউবের ক্ষতি হয়ে থাকে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও ধূমপানের কারণে অপরিণত অবস্থায় ডিম্বাণু নষ্ট হয়ে যায়। ধূমপানের মত অ্যালকোহলের ব্যবহারের ফলেও ডিম্বাণু উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেয়।
  • যৌনরোগঃ গনোরিয়া ও ক্ল্যামাইডিয়ার মতো যৌনরোগে আক্রান্ত হলে ফেলোপিয়ান টিউবের ক্ষতি হয়ে থাকে। এর ফলে গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। একাধিক যৌনসঙ্গী থাকলে ও অনিরাপদ যৌন মিলনে লিপ্ত হলে রোগ হতে পারে। এর ফলে সন্তান ধারনের ক্ষমতা কমে পায়
  • ওজনঃ স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন খুব বেশি বা কম হলে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা পাঁচগুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা  ৩ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ শুক্রাণু উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি বা অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে  পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়। যে টিউব বা নালীর সাহায্যে শুক্রাণু বাইরে বেরিয়ে আসে, তা কোনো কারণে আটকে গেলে শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যায়। কোনো আঘাত, অপারেশন বা হরমোনজনিত কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।

উত্তরঃ বন্ধ্যাত্বের কারণে দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন সংকট দেখা দেয়। এ সমস্যার কারণে যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়, তার প্রভাবে পারস্পরিক সমঝোতা ও স্নেহের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।  ফলে অতিরিক্ত মানসিক চাপের সৃষ্টি হয় এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়ই উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতায় ভুগতে থাকেন।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করে পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধ করা যেতে পারে-

  • মাদক দ্রব্য পরিহার করতে হবে।
  • দূষণ ও বিষাক্ত পদার্থ থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • যেসব ঔষধের ব্যবহারে এ সমস্যার দেখা দিতে পারে, সেগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করে মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধ করা যেতে পারে-

  • প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যায়াম করা।
  • মেদবৃদ্ধি ও স্থূলতা প্রতিরোধ করতে হবে।
  • ক্যাফেইনযুক্ত দ্রব্যের ব্যবহার সীমিত করতে হবে।
  • ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
  • মাদক ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।