মাসিকে স্বল্প রক্তক্ষরণ (Scanty menstrual flow)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি অলিগোমেনোরিয়া (Oligomenorrhea), হাইপোমেনোরিয়া (Hypomenorrhea), মাসিক কমে যাওয়া ও মাসিক অল্প হওয়া হিসেবেও পরিচিত।

অলিগোমেনোরিয়া বলতে মাসিক অল্প হওয়াকে বোঝায়। আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে  ৩৫ দিনের বেশি ব্যবধানে (বছরে ৪ থেকে ৯ বার) মাসিক হওয়াকে অলিগোমেনোরিয়া বলা হয়। স্বাভাবিকভাবে মাসিক হয় এমন মহিলাদের এই সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যার ক্ষেত্রে মাসিকের ব্যবধান ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-  

  • অ্যানিমিয়া (Anemia)
  • দুর্বলতা ও অবসাদ (Weakness and Fatigue)
  • জীনগত সমস্যা (Genetic Problem)
  • ক্রাশ ডায়েট (Enough or crash Diet)
  • নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ গ্রহণ বা ইউটেরাসের অপারেশন হওয়া (Some Medication or Uterus surgery)
  • জন্ম বিরতিকরণ পিল (Birth control pills)
  • ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া (High Estrogen and Progesterone level)
  • মানসিক চাপ (Stress)
  • অনুভূতির সমস্যা (Emotions)
  • অতিরিক্ত ব্যায়াম করা (More and excessive exercise)
  • থায়রয়েড হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া (Low Thyroid Hormone Level)
  • দেহে চর্বির পরিমাণ কমে যাওয়া (Low body fats)
  • গর্ভপাত (Abortion)
  • সন্তান জন্মদান (Child delivery)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

জাত: কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করে মাসিক অল্প হওয়ার সমস্যা  প্রতিরোধ করা যেতে পারে-

  • যদি অ্যানিমিয়ার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে বিটের জুস বা মূল খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
  • মাসিকের ২ সপ্তাহ পূর্বে টমেটোর জুস  খেলে মাসিকের রক্তক্ষরণ  স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করলে গর্ভাশয়ের বন্ধ শিরা খুলে যায় এবং ঋতুচক্র স্বাভাবিক থাকে।
  • হরমোনের মাত্রায় ভারসাম্য রাখতে বেশি পরিমাণে জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
  • মশলাজাতীয় খাবার ও ফাস্ট ফুড পরিহার করতে হবে।
  • চাপ মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। মানসিক চাপের কারণে এস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে যৌনস্বাস্থ্যের সমস্যা হতে পারে। তাই এস্ট্রোজেন বৃদ্ধিকারী খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন।