মলদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ (Rectal bleeding)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

বৃহদান্ত্রের নিচের কয়েক ইঞ্চি জুড়ে রেক্টাম বা মলাশয় অবস্থিত। রেক্টাল ব্লিডিং বলতে সাধারণত রেক্টাম অথবা লোয়ার কোলন থেকে রক্তক্ষরণ হওয়াকে বোঝায়। আবার পায়ু থেকে রক্তক্ষরণ হওয়াকেও রেক্টাল ব্লিডিং বলা হয়ে থাকে। এ অবস্থায় মলের সাথে রক্ত যায়। কখনো কখনো ব্যবহৃত টয়লেট পেপারেও রক্তের ছোপ দেখা যায়। এ রক্তের বর্ণ লাল, গাঢ় ম্যারুন আব আলকাতরার মত হয়ে থাকে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

অ্যানাল ফিশার (Anal fissure) অ্যানাল ফিস্টুলা (Anal fistula)
পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ (Gastrointestinal hemorrhage) কলোরেক্টাল ক্যান্সার (Colorectal cancer)
ক্রনিক কন্সটিপেশন/ ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য (Chronic constipation) পাইলস (Hemorrhoids)
বিষক্রিয়াজনিত হেপাটাইটিস (Hepatitis due to a toxin) ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable bowel syndrome)
অন্ত্রের রোগ (Intestinal disease) রেক্টাল ডিজঅর্ডার / মলাশয়ের রোগ (Rectal disorder)
লৌহের ঘাটতিজনিত রক্তস্বল্পতা (Iron deficiency anemia) প্রাইমারী থ্রম্বোসাইথেমিয়া (Primary thrombocythemia)
কোলনিক পলিপ (Colonic polyp) ক্রন ডিজিজ (Crohn disease)
ডাইভারটিকুলোসিস (Diverticulosis) ইশকেমিয়া অফ দি বাওয়েল (Ischemia of the bowel)
নন-ইনফেকশস গ্যাস্ট্রোয়েন্টেরাইটিস (Noninfectious gastroenteritis) পেরিরেক্টাল ইনফেকশন/ অ্যানোরেক্টাল অ্যাবসেস (Perirectal infection/Anorectal abscess)
পেলভিক ফিস্টুলা (Pelvic fistula)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ সাধারণত পাইলস বা হেমোরয়েডস এর কারণে মলদ্বার হতে রক্ত পড়ে থাকে। আবার ক্যান্সারের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। এ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং ব্যক্তির বয়স ৫০ এর উর্ধ্বে হলে তাকে কোলোনোস্কপি করার পরামর্শ দেয়া হতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

যদিও এটি একটি গুরুতর বা মারাত্নক সমস্যা, তবে কোনো কোনো গৌণ সমস্যা যেমন- অ্যানাল ফিশার, হেমোরয়েডস, পলিপ ও ইনফেকশনের কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এই অবস্থায় ফাইবার সাপ্লিমেন্ট, মলম ব্যবহার ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি আরামবোধ করে থাকেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।