মাসিক না হওয়া (Absence of menstruation)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি অ্যামেনোরিয়া (Amenorrhea) হিসেবেও পরিচিত।

অ্যামেনোরিয়া বলতে প্রজননক্ষম নারীদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়াকে বোঝায়। সাধারণত গর্ভাবস্থা ও দুগ্ধপানের সময় এই লক্ষণ দেখা দেয়। মেনোপজের পরেও মহিলাদের মাসিক হওয়া বন্ধ হয়ে যায়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে:  যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যে সকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মাসিক বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে-

  • বংশ/পরিবার: কোনো মহিলার বংশের অন্যান্য মহিলা সদস্যদের মাসিক বন্ধ হওয়ার সমস্যা থাকলে তারও এটি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
  • খাদ্য গ্রহণে সমস্যা: কোনো মহিলার  অ্যানোরেক্সিয়া (anorexia) বা বুলিমিয়ার (bulimia) মতো ইটিং ডিজঅর্ডার থাকলে তার মাসিক বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
  • ক্রীড়া অনুশীলন: কঠোর অনুশীলন করার ফলে মহিলাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

জাত: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: সাধারণত প্রজননক্ষম মহিলাদের ৫%-এর কম এই সমস্যায় ভুগে থাকে। এছাড়া ১%-এর কম মহিলা প্রাইমারি অ্যামেনোরিয়ায় আক্রান্ত হয়। তবে শারীরিক-মানসিক চাপ, অপুষ্টি, অতিরিক্ত ব্যায়াম ও অসুস্থতার কারণেও ঋতুচক্রে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

উত্তর: অল্পবয়স্ক মেয়েদের প্রথম মাসিক না হওয়াকে প্রাইমারি অ্যামেনোরিয়া বলে।

হেলথ টিপস্‌

যেহেতু অতিরিক্ত  শারীরিক পরিশ্রম ও স্বল্প পরিমাণে খাদ্য গ্রহণের কারণে অ্যামেনোরিয়া হতে পারে, তাই কাজ করা ও বিশ্রাম গ্রহণের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করে চলুন। আপনার  মানসিক চাপ ও দ্বন্দ্ব থাকলে সেগুলি কমানোর চেষ্টা করুন। যদি আপনি নিজে থেকে কমাতে না পারেন, তাহলে এ ব্যাপারে পরিবার, বন্ধু ও চিকিৎসকের সাহায্য নিন। ঋতুচক্রের পরিবর্তনের দিকে খেয়াল রাখুন, এবং এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তা মেনে চলুন। পিরিয়ড শুরুর সময় পিরিয়ডের স্থায়ীত্ব বা কোনো সমস্যাপূর্ণ লক্ষণ দেখা দিলে তা লিখে রাখুন।