ভ্যারিকোসিল অফ দা টেস্টিকল (Varicocele of the testicles)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

রোগটি ভ্যারিকোসিল (Varicocele) এবং স্ক্রোটাল ভ্যারিসেস (Scrotal Varices) নামেও পরিচিত।

ত্বক দ্বারা আবৃত যে থলির ভেতরে অণ্ডকোষ থাকে তাকে অণ্ডথলি বলে। এই অণ্ডথলির অভ্যন্তরে শিরা অস্বাভাবিক ফুলে যাওয়াকে ভ্যারিকোসিল বলে।

ভ্যারিকোসিলের কারণে শুক্রাণুর উৎপাদন মাত্রা এবং এর গুনাগুন কমে যায়, ফলে এতে আক্রান্ত পুরুষরা সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়ে পড়ে। তবে সব ভ্যারিকোসিল শুক্রাণুর উৎপাদন মাত্রার উপর প্রভাব ফেলে না। ভ্যারিকোসিলের কারণে অণ্ডকোষ স্বাভাবিকভাবে বিকশিত বা সংকুচিত হতে পারে না।

অধিকাংশ ভ্যারিকোসিল সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগ নির্ণয় করা সহজ। এর নিরাময়ের জন্য সাধারণত কোনো ধরনের চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। তবে এই রোগ তীব্র পর্যায়ে চলে গেলে অপারেশন বা সার্জারি করা প্রয়োজন।

কারণ

স্পার্মাটিক কর্ডের মাধ্যমে রক্ত অণ্ডকোষে প্রবাহিত হয়ে যায়। ঠিক কি কারণে ভ্যারিকোসিল হয় তা নিশ্চিত নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন কর্ডের ভিতরের ভাল্ভ সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহে বাধা দেয় তখন ভ্যারিকোসিল সৃষ্টি হয়। এর কারণে শিরাগুলো প্রসারিত হয়ে অণ্ডকোষের ক্ষতি করে।

বয়ঃসন্ধিকালে সাধারণত ভ্যারিকোসিল হয়ে থাকে। এটি সাধারণত বামদিকে হয়। তবে যেকোনো একটি অণ্ডকোষের ভ্যারিকোসিল উভয় অণ্ডকোষের শুক্রাণু উৎপাদনে প্রভাব ফেলে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এই রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো ঝুকিঁপূর্ণ বিষয় নেই। তবে কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, যাদের শরীরের উচ্চতা বেশি তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি।

জাতি: কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, হিস্প্যানিক এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ যদি ভ্যারিকোসিলের চিকিৎসা করানো না করা হলে রোগীর মারা যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ভ্যারিকোসিল ক্ষতিকর নয়, তবে এর কারণে পুরুষদের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা কমে যায় এবং অণ্ডথলিতে ব্যথা হয় ও তা ভারী অনুভূত হয়।

উত্তরঃ স্পার্মাটিক শিরার অপারেশনের (Successful surgical transection and ligation of spermatic veins) মাধ্যমে এই রোগ সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যায়। অপারেশনের কারণে ভ্যারিকোসিল আক্রান্ত টিস্যুর পরিমাণ খুব দ্রুত কমে যায়। তবে এত সম্পূর্ণরূপে সমস্যা সারে না। কিন্তু অপারেশনের কারণে যে ব্যথা এবং ফোলা ভাবের সৃষ্টি হয় তা অনেকদিন যাবৎ স্থায়ী থাকে।

হেলথ টিপস্‌

ভ্যারিকোসিলের কারণে সামান্য অস্বস্তিবোধ হলে তা সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে না। সেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে ব্যথা কমানো যেতে পারে-

  • এ্যাসিটামিনোফেন (Acetaminophen) বা ইবিউপ্রোফিন (Ibuprofen) জাতীয় পেইনকিলার গ্রহণ।
  • অণ্ডকোষে যাতে চাপ না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখা।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম জোয়ারদার

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এসএস(জেনারেল সার্জারি)

ডাঃ রাসেল আহম্মেদ খান লোদী

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস

ডাঃ সুদীপ দাশ গুপ্ত

ইউরোলজি ( মূত্রতন্ত্রের সার্জারী) ( Urology)

এমবিবিএস, এমএস (ইউরোলজী)

ডাঃ সৈয়দ আহসান আলী

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(সার্জারী)

অধ্যাপক ডাঃ শুকরিয়া নায়ক

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস, এমএস, এফআরসিএস

প্রফেসর এম আর খাঁন

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এফসিপিএস

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ এনামুল কবীর

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery), প্লাস্টিক এন্ড রিকন্সট্রাক্টিভ সার্জারী ( Plastic & Reconstructive Surgery)

এমবিবিএস (ঢাকা), এফসিপিএস(সার্জারী)

মেজর ডাঃ মোঃ শফিউল আলম

জেনারেল সার্জারী ( General Surgery)

এমবিবিএস(বিডি), এমসিপিএস, এফসিপিএস(সার্জারী), ইএমএসএসবি(ইউএসএ)