মহিলাদের যেসব স্থানে স্বাভাবিকভাবে লোম থাকে না (মুখমণ্ডল, বুক) ঐসব
স্থানে কখনও কখনও অবাঞ্ছিত লোমের উপস্থিতি দেখা যায়, যা হারসুটিজম
(Hirsutism) নামে পরিচিত। এই অবাঞ্ছিত লোমকে বলা হয় এন্ড্রোজেনিক হেয়ার। এর
কারণে তাদের বাহ্যিক সৌন্দর্যের উপর প্রভাব পড়ে। এটি কোনো রোগ নয়,
বরং রোগের লক্ষণ। এই সমস্যা সাধারণত বয়ঃসন্ধিকালের পরবর্তী সময়ে হয়ে থাকে।
নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অবাঞ্ছিত লোম হওয়ার ঝুকিঁ বৃদ্ধি করে-
পরিবারের কোনো সদস্যের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ডোম বা কঞ্জেনিটাল
এড্রেনাল হাইপারপ্লেসিয়া প্রভৃতি সমস্যা থাকলে ঐ পরিবারের অন্য সদস্যের
মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চল, মধপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারীদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৫ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতি:
শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা
সম্ভাবনা রয়েছে।
হেলথ টিপস্
অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে-
শেভিং হলো অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করার সহজ ও নিরাপদ উপায়।
ক্রিম ব্যবহার করে এই সমস্যা দূর করা যায়।
এপিলেডির মাধ্যমে এই লোম গোড়া থেকে পরিষ্কার করা সম্ভব।
প্রতিদিন স্পাইরোনোল্যাক্টোন ব্যবহারের মাধ্যমে অবাঞ্ছিত লোমের বৃদ্ধি কমে যায়।
ব্লিচিং করা যেতে পারে। তবে এর কারণে ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।