মাসিকের সময় ব্যথা হওয়া (Painful menstruation)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মাসিক চলাকালীন বা মাসিক শুরু হওয়ার আগে তলপেট, মেরুদণ্ড ও পায়ে ব্যথা হয়ে থাকে। এই ব্যথা খুব তীব্র না হলেও কোনো কোনো মহিলার ক্ষেত্রে ব্যথা খুব বেশি হতে পারে। এমনকি ব্যথার ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হতে পারে। এন্ডোমেট্রিয়োসিস (endometriosis) বা ইউটেরাইন ফাইব্রোয়েডস (uterine fibroids) এর কারণে মাসিকের সময় ব্যথা হয়ে থাকে। তবে কোনো সুনিদির্ষ্ট কারণে এই ব্যথা না হলে সময়ের সাথে সাথে, বিশেষ করে একবার সন্তান প্রসবের পর এই ব্যথা অনেক কমে আসে। মাসিকের সময় যে ব্যথা হয়ে থাকে তা মেনোর‍্যালজিয়া (Menorrhalgia), মেন্সট্রুয়াল ক্রাম্পস (Menstrual cramps) এবং ডিসমেনোরিয়া (Dysmenorrhea) নামে পরিচিত।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

প্রত্যকের এ সমস্যা হয় না। তবে অধিকাংশ মেয়েরই মাসিকের সময় মেরুদণ্ড ও তলপেটে ব্যথা ও টান অনুভূত হয়। এরকম সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হিটিং প্যাড ব্যবহারের মাধ্যমে বা হালকা গরম পানিতে গোসল করলেও এক্ষেত্রে কিছুটা আরাম আরাম পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া হালকা ব্যায়ামও করা যেতে পারে।

নিম্নলিখিত উপসর্গগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবেঃ

  • টানা তিন মাস পর্যন্ত এ ব্যথা স্থায়ী হলে।
  • খিঁচুনি/ টানের সাথে ডায়রিয়া বা বমি বমি ভাব দেখা দিলে।
  • মাসিকের সময় ছাড়াও তলপেটে ব্যথা হলে।
  • আই-ইউ-ডি প্রতিস্থাপনের পর ব্যথা হলে।

হেলথ টিপস্‌

মাসিকের সময় ব্যথা হলে বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, যেমন-

  • পিঠ ও পেল্ভিক অংশে হিটিং প্যাড বা হট ওয়াটার ব্যাগের সাহায্যে সেক দিতে হবে।
  • তলপেটে হালকাভাবে মাসাজ করতে হবে।
  • গরম পানিতে গোসল করতে হবে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
  • পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
  • বিভিন্ন রিলাক্সেশন টেকনিক ( যেমন-যোগব্যায়াম ) অনুসরণ করা।