মাসিক চলাকালীন সময়ে রক্তপাত অধিক হলে তাকে মেনোরেজিয়া (Menorrhagia)
বলে। মেনোপজের পূর্বাবস্থায় সাধারণত এই সমস্যা বেশি দেখা যায়, তবে বেশীর
ভাগ মহিলাই এই সমস্যার সম্মুখীন হয় না।
আবার অধিক রক্তপাতের কারণে
খিঁচুনি হয় এবং অনেকের মনে এটি ভীতি সৃষ্টি করে ও দৈনন্দিন কাজ করতে
অসুবিধা হয়।। এ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ।
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরে হরমোন নিঃসরণ ক্রিয়া বিশেষভাবে পরিবর্তিত
হয়৷ এই সময়ে ডিম্বাশয় বা ওভারি শুকিয়ে যায়, তাই ওভামও সৃষ্টি হয় না৷ ফলে
ওভারি থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোন নিঃসৃত হয় না৷
ডিম্বাণু উৎপাদন বা পরিস্ফুটন ছাড়াই যাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায় তারা হলোঃ
মেয়েদের প্রথমবার মাসিক হওয়ার পরের এক বছর পর্যন্ত এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মেনোপজ হওয়ার পূর্ববর্তী সময়ে মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যাওয়ার ঝুঁকি বেশি।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ
শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ,
হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা
সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরঃ কম্বাইন্ড ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ পিল (Combined Oral Contraceptive
Pill) বা ও-সি-পি (OCP) জন্মনিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে মেনোরেজিয়াকেও নিয়ন্ত্রণ
করে থাকে।
হেলথ টিপস্
নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ
মাসিকের সময় রক্তপাত অধিক হলে ক্লান্তিবোধ হয়। তাই এই সময়ে প্রচুর বিশ্রাম নিতে হবে। বেশি নড়াচড়া ও ভারী কোনো কাজ করা যাবে না।
রাতে কমপক্ষে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
ঠাণ্ডা পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে তা তলপেটে কিছুক্ষণ ধরে রেখে শুয়ে থাকতে হবে।
কলার মোচা রান্না করে তা দৈ এর সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
২০
গ্রাম ধনে ২ কাপ পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে। পানি শুকিয়ে ১/২ কাপ হওয়া
পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপর এই মিশ্রণটিকে ঠাণ্ডা করে খেতে হবে।