গর্ভকালীন রক্তক্ষরণ (Spotting or bleeding during pregnancy)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

গর্ভকালীন রক্তক্ষরণ একটি সাধারণ লক্ষণ। বিশেষত গর্ভধারণের প্রথম ৩ মাসের মধ্যে এই রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। সাধারণত এই লক্ষণের সাথে কোনো গুরুতর সমস্যার সম্পর্ক থাকে না। তবে যেহেতু কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তক্ষরণ গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে, তাই এর সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে গর্ভস্থ শিশুর অবস্থা সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া উচিৎ।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-  

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি গর্ভাবস্থার পরবর্তী পর্যায়ের রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে-

  • উচ্চ রক্তচাপ।
  • ৩৫ বছরের বেশি বয়স।
  • মাল্টিপ্যারিটি (Multiparity)।
  • ধূমপান।
  • কোকেইন গ্রহণ।
  • পূর্বে অ্যাবরাপশিও প্লাসেনটা (abruptio placentae) থাকা।
  • ট্রমা।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

জাতি শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিক, কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ গর্ভাবস্থায় রক্তপাত হওয়া গর্ভপাতের লক্ষণ হতে পারে। তবে অন্য কারণেও গর্ভাবস্থায় রক্তপাত  হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তরঃ রক্তপাতের পরিমাণ অল্প হলে কিছুটা সময় অপেক্ষা করে রক্তপাতের অবস্থা কেমন হয়, তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে, এবং বিষয়টি চিকিৎসককে জানাতে হবে। তবে এ ব্যাপারে কেউ উদ্বিগ্ন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে টেস্ট করিয়ে গর্ভাবস্থা সম্পর্কে তার নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। 

হেলথ টিপস্‌

গর্ভকালীন রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ করতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন-

  • গর্ভধারণের ৩ থেকে ৯ মাসের মধ্যে রক্তক্ষরণ হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রথম ৩ মাসের মধ্যে সামান্য রক্তপাত হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
  • চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পূর্বে সচেতন থাকুন। তাই এ সময়ে ব্যায়াম ও ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকুন, বিশ্রাম নিন এবং পানিশূন্যতা রোধ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
  • চিকিৎসকের পরীক্ষার আগ পর্যন্ত যৌনমিলন থেকে বিরত থাকুন। যৌনমিলনের ফলে গর্ভাশয়ে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়, এবং এ জন্য রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। তবে যৌন মিলনের পর কিছুটা রক্তপাত হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এ ধরনের সামান্য রক্তপাতের সাথে সাধারণত কোনো গুরুতর সমস্যার সম্পর্ক থাকে না।  
  • রক্তপাতের পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্যাড ব্যবহার করুন। ট্যামপনের মতো যোনির ভিতরে ব্যবহার করতে হয় এমন কোনো সামগ্রী ব্যবহার করবেন না। এগুলি ব্যবহারের কারণে গর্ভাশয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে ও সেখানকার টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।