শরীরের সামনের দিকে, উরুর উপরের অংশ ও তলপেটের সংযোগস্থলকে কুঁচকি বলা হয়।
কুঁচকিতে ছোট বা বড় আকারের পিণ্ড দেখা দিতে পারে যার ফলে কুঁচকি ফুলে যায়।
এক বা একাধিক পিণ্ড দেখা দিতে পারে যা ছোট থেকে বড় আকার ধারণ করতে পারে। এই
পিণ্ড দেখতে শক্ত বা নরম এবং লাল বর্ণের হতে পারে। কখনও কখনও এই পিণ্ড
থেকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন কারণে কুঁচকিতে পিণ্ড হতে পারে, যেমন-
যেকোনো ধরনের আঘাত, অ্যালার্জি, ইনফেকশন, টিউমার ও হার্নিয়া। আবার
পোকামাকড়ের কামড়, হেমাটোমা (কাঁটাছেঁড়ার কারণে টিস্যুতে রক্ত জমাট বাধা),
অ্যালার্জি ও র্যাশের কারণে কুঁচকিতে পিণ্ড হয়ে থাকে।
যেসকল কারণে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলো:
হেমাটোমা।
স্কার টিস্যু।
পোকামাকড়ের কামড়।
অ্যালার্জি।
এমন সিস্টের উপস্থিতি যা সাধারণত ক্যান্সার সৃষ্টি করে না।
হার্নিয়া।
ফাইব্রোমা (ফাইব্রোয়াস বা কানেক্টিভ টিস্যু থেকে তৈরী টিউমার)।
লাইপোমা।
লিম্ফোমা (লসিকানালীতে ক্যান্সার)।
মেলানমা।
মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সার (ক্যান্সার যা শরীরের এক অংশ থেকে অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে)।
নন-মেলানোমা স্কিন ক্যান্সার।
ইনফেকশন যা শরীরের এক অংশ থেকে অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
গুরুতর আঘাত বা ক্ষত।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে, মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা
সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ
দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।