অর্গাজমের বিভিন্ন সমস্যা (Problems with orgasm)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

যৌন উত্তেজনা কাজ করার পরও যৌনমলনের সময় নারী বা পুরুষ উভয়েরই অর্গাজমের সময় সমস্যা হতে পারে। এর ফলে যৌনমিলনে পরিতৃপ্তি আসে না এবং যৌনতার প্রতি আগ্রহ ধীরে ধীরে কমে যায়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

  • গুরুতর অসুস্থতা।
  • মেনোপজ।
  • যৌনতা সম্পর্কিত ধর্মীয় বা সামাজিক মূল্যবোধ।
  • অতিরিক্ত লজ্জাবোধ কাজ করা।
  • যৌনমলনের সময় অপরাধবোধ কাজ করা।
  • যৌন হয়রানির শিকার হওয়া।
  • হিস্টেরেক্টোমি বা অপারেশনের সাহায্যে জরায়ু অপসারণ করা ।
  • স্নায়বিক সমস্যা (neurological disorders) বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া।
  • নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ ব্যবহার করা।
  • সেক্সুয়াল পারর্ফমেন্স বা লিঙ্গের দৃঢ়তা নিয়ে ব্যক্তির মধ্যে উদ্বেগ কাজ করা।
  • পারষ্পরিক সুসম্পর্কের অভাব দেখা দেওয়া।
  • অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা।

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসব কারণে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলো-

  • পেল্ভিক বা মেরুদণ্ডে আঘাত।
  • মানসিক সমস্যা।
  • সম্পর্কের টানাপোড়ান।
  • নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের ব্যবহার।
  • মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি: কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।  অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ মহিলাদের ক্ষেত্রে অর্গেজমের সমস্যা দুই রকমের হতে পারে। যেমন:

  • প্রাইমারি- যৌনমিলনের সময় কখনোই অর্গাজম না হওয়া।
  • সেকেন্ডারি- পূর্বে অর্গাজম হলেও বর্তমানে বন্ধ থাকা।

 

হেলথ টিপস্‌

অগার্জম হওয়ার সমস্যা প্রতিরোধ করতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন-

  • অ্যালকোহল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
  • মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা ত্যাগ করুন।
  • তামাকের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • দৈনন্দিন জীবনে দুশ্চিন্তা ও কাজের চাপ সীমিত রাখার চেষ্টা করুন।
  • পর্যাপ্ত সময় ধরে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
  • উদ্বেগ বা বিষণ্নতা নিয়ন্ত্রণের জন্য  চিকিৎসকের সাহায্য নিন।
  • গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।