শিশুদেরকে খাবার খাওয়াতে সমস্যা (Infant feeding problems)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

একেক শিশুর খাবারের অভ্যাস একেক রকম হয়ে থাকে ও একই সাথে তা বড়দের থেকেও সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়। তাই শিশুকে খাওয়ানোর সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা। শিশুর খাবারের প্রতি অনীহা বা অরুচি দেখা দিতে পারে। খাবার গিলতে অসুবিধা হতে পারে বা খাবার গলায় আটকে যেতে পারে। খাবার খাওয়ানোর সময় বমি বা কাশি হতে পারে। আবার বাচ্চা খুব দুর্বল হলে বুকের দুধ টেনে খেতে পারে না, ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ পায় না। শিশু একেবারেই খেতে না চাইলে অর্থাৎ এ সমস্যা গুরুতর আকার ধারণ করলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে খাবারের প্রতি শিশুর আগ্রহ বাড়াতে হবে ও নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

বিভিন্ন কারণে শিশুর মধ্যে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যেমনঃ শিশুর মধ্যে ভয় বা ভীতি কাজ করলে এবং শিশুর প্রতি যত্ন ও ভালোবাসার অভাব দেখা দিলে সে সঠিকভাবে খেতে চায় না। আবার প্রতিদিন যে খাবার দেওয়া হয় তা শিশুর পছন্দ না হলে খাবারের প্রতি অরুচি দেখা দিতে পারে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ। অপরদিকে, শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ সাধারণত নবজাতক প্রতিদিন ৬-৮ বার বুকের দুধ খেয়ে থাকে এবং প্রত্যেকবার ২-৩ আউন্স পরিমাণ দুধ খেয়ে থাকে। মনে রাখতে হবে, জন্মের প্রথম সপ্তাহে বাচ্চার ওজন হ্রাস পায় ও দ্বিতীয় সপ্তাহে পুনরায় ওজন বাড়তে শুরু করে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে প্রত্যেক সপ্তাহে বাচ্চার ওজন পরিমাপ করতে হবে।

উত্তরঃ জন্মের প্রথম সপ্তাহে প্রত্যেকবার খাওয়ানোর মধ্যবর্তী সময়ে শিশুকে ৩-৪ ঘন্টার বেশি ঘুমাতে দেওয়া উচিত নয়। শিশু বুকের দুধ খেলে এ অবস্থায় ঘন ঘন দুধ খাওয়াতে হবে। কেননা তা খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়।

হেলথ টিপস্‌

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কিছু জিনিস মনে রাখতে হবে। যেমনঃ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, শিশুকে কোনো অবস্থাতেই ক্ষুধার্ত রাখা যাবে না। তাই নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে শিশুকে বুকের দুধ দিতে হবে।