প্রত্যেক নবজাতকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বুকের দুধ কিছুক্ষণ খাওয়ার পর তা
আপনাআপনি মুখ বা নাক দিয়ে বের করে দেয়। প্রায় প্রত্যেক নবজাতকের ক্ষেত্রে
এই সমস্যা হয়ে থাকে। কেননা এই বয়সের শিশুদের খাওয়ানোর সময় বা খাওয়ানোর পর
সোজাভাবে বসানো সম্ভব হয় না। আবার, খাদ্যনালী ও পাকস্থলী পৃথককারী
স্ফিঙ্কটার অপরিণত অবস্থায় থাকে বলে তা সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। বাচ্চা
খুব তাড়াতাড়ি খেতে থাকলেও এই সমস্যা হতে পারে। তবে ৭-১২ মাস বয়সের শিশুর
এই সমস্যা থাকে না।
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
অপরদিকে, মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।
জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা
দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, শ্বেতাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ
দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।
শিশুর এ লক্ষণের সাথে যদি নিম্নলিখিত লক্ষণসমূহ দেখা দেয় তবে তা গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে-
শিশু নিস্তেজ হয়ে গেলে।
শিশুর ওজন বৃদ্ধি না পেলে।
বারবার বমি করলে।
খাবারের সাথে সবুজ বা হলুদ বর্ণের তরল দেখা দিলে।
বমির সাথে রক্ত গেলে।
বারবার খাবারে অনীহা প্রকাশ করলে।
মলের সাথে রক্ত গেলে।
শ্বাসকষ্ট সহ অন্যান্য অসুস্থতা দেখা দিলে।
উত্তরঃ নবজাতকের ক্ষেত্রে খাবার মুখ থেকে বের করে দেওয়া খুব সাধারণ একটি অভ্যাস।
এই অভ্যাসের কারণে শিশুর ওজন বা স্বাস্থ্যের কোনোরূপ ক্ষতি হয় না।
হেলথ টিপস্
শিশু অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত হওয়ার আগেই শিশুকে খাওয়ানো উচিত। প্রত্যেকবার
খাওয়ানো শেষে ৪-৫ মিনিট পর্যন্ত ঢেকুর ওঠানোর চেষ্টা করাতে হবে ও বাচ্চাকে
সোজা অবস্থায় রাখতে হবে। শিশুর যদি ফিডারে খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে খেয়াল
রাখতে হবে একেবারে যেন বেশি পরিমান খাবার মুখে চলে না যায়।