লক্ষণটি ফাটা ঠোঁট, ঠোঁট থেকে রক্ত পড়া, ঠোঁট খসখসে হওয়া ও চিলোসিস (Cheilosis) হিসেবেও পরিচিত।
ঠোঁটের
ইনফ্লামেশনকে চিলোসিস বলে। এই ইনফ্লামেশন মুখের চারপাশের ত্বক, ঠোঁটের
প্রান্ত এবং লেবিয়াল মিউকোসাকে (labial mucosa) আক্রান্ত করে। মূলত মুখের
চারপাশের ত্বক ও ঠোঁটের প্রান্তই এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়, কারণ লেবিয়াল
মিউকোসা ইনফ্লামেশন ও অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দ্বারা কম প্রভাবিত হয়।
শুষ্ক ঠোঁটের প্রকারভেদ রয়েছে, এবং এই সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
শীতকালে ও শুষ্ক আবহাওয়ায় ঠোঁট শুকিয়ে যায়, ফেটে যায় বা ঠোঁটে জ্বালা
সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাগুলি সাধারণত গ্রীষ্মকালে হয় না। তবে রোদ লাগার ফলে
ঠোঁটে খসখসে ভাব সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ঠোঁট চাটা ও কামড়ানোর ফলেও এই
ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বকের চেয়ে ঠোঁটে
খসখস ভাব বেশি সৃষ্টি হয়ে থাকে। অন্যান্য অংশের ত্বকে শুষ্কতা রোধের জন্য
এক প্রকার তেল উৎপন্ন হয়, কিন্তু ঠোঁটে এই জাতীয় কোনো তেল উৎপন্ন হয় না।
ঠোঁটের খসখসে ভাব দূর করার জন্য ঠোঁট কোমলকারী লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতে
পারে। এছাড়া শীতকালে ঠোঁট ফাটা রোধ করতে বেশি পরিমাণে পানি পান করা
প্রয়োজন।
সব বয়সের ব্যক্তিদের ঠোঁট শুষ্ক হওয়ার সমস্যা হতে পারে। যাদের ত্বক
শুষ্ক তাদের এই সমস্যা বেশি হয়। কিছু কিছু ঔষধ গ্রহণের কারণেও ঠোঁট শুষ্ক
হতে পারে, যেমন-
নিম্নোক্ত বিষয়গুলি ঠোঁট শুষ্ক হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে:
দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা ও শুষ্ক পরিবেশে অবস্থান করা।
রোদে পোড়া।
ধূমপান।
একজেমার মতো চর্মরোগ থাকা।
ঘনঘন ঠোঁট চাটার সমস্যা থাকা।
ব্রনরোধী ঔষধের মতো কিছু ঔষধ গ্রহণ।
কসমেটিক্স ও ত্বক সুরক্ষাকারী দ্রব্যের কারণে সৃষ্ট অ্যালার্জিজনিত প্রতিক্রিয়া।
পানিশূন্যতা।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাত: শ্বেতাঙ্গদের
মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই
লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই
লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।
উত্তরঃ না। টপিকাল স্টেরয়েড এই ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
হেলথ টিপস্
অনেকেরই বারবার ঠোঁট শুষ্ক হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা
প্রতিরোধ ও নিরাময়ের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে:
ঠোঁট
সুরক্ষিত রাখা: ঠান্ডা ও শুষ্ক পরিবেশে যাওয়ার পূর্বে সানস্ক্রিনযুক্ত
ঠোঁট কোমলকারী মলম ও বাম ব্যবহার করুন। এরপর স্কার্ফ দিয়ে ঠোঁট ঢেকে রাখুন।
ঠোঁট
না চাটা: মুখের লালা দ্রুত বাষ্পীভূত হয়্, এবং এর ফলে ঠোঁট চাটার পর তা
পূর্বের তুলনায় আরও বেশি শুকিয়ে যায়। ঠোঁট চাটার অভ্যাস থাকলে সুগন্ধযুক্ত
লিপজেল ব্যবহার করবেন না। এই সুগন্ধের কারণে আপনার বারবার ঠোঁট চাটার
প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
পানি পান করা: ঠোঁটের শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে বেশি পরিমাণ পানি পান করুন।