মাম্পস (Mumps)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মাম্পস হল ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে কানের নিকটবর্তী প্যারোটিড গ্রন্থিতে হয়ে থাকে। প্যারোটিড গ্রন্থি হলো তিন জোড়া লালা গ্রন্থিগুলোর (salivary gland)  মধ্যে একটি। এই গ্রন্থিটি কানের নিচে অথবা কানের সামনে অবস্থিত। যদি আপনি অথবা আপনার মাম্পসে  আক্রান্ত হন তাহলে একটি অথবা উভয় গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে। মাম্পস খুবই সাধারণ রোগ এবং এর সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। মাম্পস প্রতিরোধ করার জন্য এই রোগের ভ্যাকসিন/ টিকা নেয়া প্রয়োজন।

কারণ

মাম্পস ভাইরাস এর কারনে এ রোগ হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে  লালার মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। যদি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই মাম্পস আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কফ থেকে এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত কাপ বা পাত্র ব্যবহার করার করেনও এই রোগ হতে পারে।

লক্ষণ

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:

চিকিৎসা

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত ঔষধগুলি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

ibuprofen mmr vaccine
paracetamol

চিকিৎসকেরা এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিম্নলিখিত টেস্টগুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন:

সি-বি-সি (কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট) (CBC, Complete Blood Count)
ই-এস-আর (এরাইথ্রোসাইট সেডিমেন্টেশন রেট) (ESR, Erythrocyte Sedimentation Rate)
মামস, আই-জি-জি (Mums, IgG)

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২৩ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ২৩ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ যদি রক্তে মাম্পসের ভাইরাস এর বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া এন্টিবডি কম থাকে অথবা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাহলে এই ব্যাধিটি একাধিক বার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

উত্তরঃ মাম্পস যেকোন বয়সে হতে পারে। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।

হেলথ টিপস্‌

রোগটি  প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে-

  • জ্বর ভালো না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
  • আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। মাম্পসে আক্রান্ত হবার পর আক্রান্ত ব্যক্তি  পাঁচ দিন বেশি সংক্রামক অবস্থায় থাকে। গরম বা ঠাণ্ডা বস্তু দিয়ে চাপ দেওয়ার মাধ্যমে কান ফোলার সমস্যা কমানো যায়।
  • শক্ত খাবার খাওয়া পরিহার করতে হবে। পুষ্টির জন্য জুস, স্যুপ বা নরম খাবার যেমন আলুভর্তা বা ওটমিল (oatmeal) খেতে হবে।
  • টক জাতীয় খাবার যেমন লেবু জাতীয় ফলের রস খাওয়া পরিহার করতে হবে, কারণ টক জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে লালা উৎপাদন করে।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ শেখ বাহার হোসেন (অবঃ)

মেডিসিন ( Medicine), গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ( খাদ্যনালী, পরিপাকতন্ত্র) ( Gastroenterology)

এমবিবিএস, এফসিপিএস(মেডিসিন), এফআরসিপি, এফআরসিপি(গ্লাসগো), এফএসিপি(ইউএসএ)

ডাঃ মোহাম্মদ এছহাক মজুমদার

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস,, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমসিপিএস (মেডিসিন) , এমডি (ইন্টারনাল মেডিসিন)

ডাঃ মোঃ আবু শোয়েব তালুকদার

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস,, এমআরসিপি(ইউকে)

অধ্যাপক ডাঃ ব্রিঃ জেনাঃ আব্দুলাহ-আল ফারুক

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস,, এফসিপিএস(মেডিসিন),, ফেলো পালমোনলজী(চীন)

ডাঃ সুমন রায়

মেডিসিন ( Medicine), ডায়াবেটোলজিষ্ট ( Diabetologist)

এমবিবিএস(ডিইউ), পিজিটি(মেডিসিন), সিসিডি(বারডেম)

ডাঃ মোঃ জাহিদুল ইসলাম

মেডিসিন ( Medicine), কার্ডিওলজি ( হার্ট) ( Cardiology)

এমবিবিএস(স্বাস্থ্য), এমডি(কার্ডিওলজী), এফসিপিএস(মেডিসিন)

অধ্যাপক ডাঃ শাফায়াত হাসান মজুমদার

মেডিসিন ( Medicine)

এমবিবিএস, এমফিল, এফসিপিএস(মেডিসিন)

ডাঃ মহিউদ্দিন আহমেদ

মেডিসিন ( Medicine), নিউরোলজি ( স্নায়ুতন্ত্র) ( Neurology)

এমবিবিএস(ঢাকা), বিসিএস(স্বাস্থ্য), এফসিপিএস(মেডিসিন), এমডি(নিউরোমেডিসিন)