ত্বকের আচিল থেকে যদি স্বল্প আঘাতে রক্তপাত হয় তবে তা স্কিন ক্যান্সারের নির্দেশক হতে পারে। এর ফলে ত্বকে উপস্থিত রক্তনালীগুলো অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে। একজিমা এবং কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিসের ফলে আচিলে চুলকানি দেখা দিতে পারে। তাছাড়া ত্বকে অবস্থিত স্নায়ুপ্রান্তের প্রদাহের কারণেও এই চুলকানি হতে পারে। কোনো আঘাত ছাড়াই যদি আচিলে ব্যথা হয় তাহলে সেটিও স্কিন ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
কারণ
হঠাৎ করে কোনো আঘাত যেমন শেভ করতে গিয়ে কেটে গেলে আচিল বা তিল থেকে রক্ত পড়তে পারে। যদি অল্প আঘাতেই তিল বা আচিল থেকে রক্ত পড়ে তবে তা চিন্তার বিষয়। এ থেকে বোঝা যায় যে, ত্বকের উপরিভাগ দূর্বল বা ত্বকের অভ্যন্তরীণ রক্তনালী স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ
এই
লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:
নিম্নলিখিত বিষয়গুলি আচিল দিয়ে রক্ত পড়ার ঝুকিঁ বৃদ্ধি করে:
যাদের ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ কম তাদের ইউ-ভি রেডিয়েশন প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাদের এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
পূর্বে সানবার্ন হয়ে থাকে।
ইউ-ভি রেডিয়েশনের সংস্পর্শে বেশি থাকা।
বিষুবীয় অঞ্চলে বসবাস করা।
বাবা-মা বা ভাই-বোনের কারো মেলানোমা থাকা।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতি: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২৩ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১৭ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৬ গুণ কম।