ত্বকের তৈলাক্ততা (Skin oiliness)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

তৈলাক্ত ত্বক সাধারণত উজ্জ্বল, পুরু ও ফ্যাকাশে হয়ে থাকে। এ ধরনের ত্বকে ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস্‌সহ (blackheads) বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। সেবাশিয়াস (sebaceous) গ্রন্থির ক্রিয়াশীলতা  অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে গেলে এবং তা প্রয়োজনের  তুলনায় বেশি পরিমাণ তৈলাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন:

  • জেনেটিক্স।
  • স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট মাত্রাতিরিক্তভাবে ব্যবহার করা।
  • ঋতুগত পরিবর্তন।
  • ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
  • হরমোনগত পরিবর্তন।
  • শারীরিক ও মানসিক চাপ।

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

জাতি: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১৪ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৫ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: না, স্বাভাবিক তৈলাক্ত ত্বক অস্বাস্থ্যকর নয়। শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করাই ত্বকের প্রধান কাজ। ত্বক আর্দ্রতা রক্ষার জন্য এবং ক্ষতিকারক পদার্থ রোধ করার জন্য তৈলাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করে। সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত পদার্থ কমে যায়, ফলে শুষ্কতা ও অস্বস্তিভাব সৃষ্টি হয়। তবে প্রয়োজনের  তুলনায় বেশি পরিমাণ তৈলাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করলে ত্বকে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস্‌সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

আপনার ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করুন:

  • সকালে ও রাতে আপনার মুখ স্কিন ক্লিনজার (তৈলাক্ত ভাব/ ব্রনরোধী) দিয়ে ধুঁয়ে ফেলুন।
  • তেলমুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকেরও কিছুটা আর্দ্রতা প্রয়োজন হয়। তাই ত্বক যদি অতিরিক্ত মাত্রায় শুষ্ক হয়ে যায়, তাহলে শরীরের তৈলগ্রন্ধি শুষ্কতা রোধ করার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণ তেল উৎপন্ন করবে। ফলে শরীরের তৈলাক্ততা আরও বেড়ে যাবে। অ্যালোভেরা জেল শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী।
  • ত্বকের আবরণের মৃত কোষ দূর করার জন্য সপ্তাহে দুই বার ফেসিয়াল স্ক্রাব (facial scrub) ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহার করলে ভিতরের সতেজ ত্বক উন্মুক্ত হওয়ার সুযোগ পায়।
  • ত্বকে যাতে পানির অভাব দেখা না দেয় সে জন্য প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করুন।
  • বেশি পরিমাণে ফল ও শাকসবজি খান। মাছের তেল ও ভিটামিন এ(ঔষধ হিসেবে গ্রহণকৃত) ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে গর্ভধারণের পূর্বে বা গর্ভধারণের সময় ভিটামিন গ্রহণ করা উচিৎ নয়, কারণ বেশি পরিমাণ ভিটামিন গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি করতে পারে। এছাড়া কোনো ঔষধ গ্রহণের পূর্বে সতর্ক হোন এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন।