ত্বকের আঁচিলের আকার ও রঙের পরিবর্তন (Change in skin mole size or color)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

সাধারণত সব ধরনের তিল বা আঁচিল দেখতে একই রকম ও একই রঙের হয়ে থাকে। তিলের রঙ লাল, ধূসর ও সাদা থেকে পরিবর্তিত হয়ে কালচে বা গাঢ় বাদামী বর্ণ ধারণ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অধিকাংশ তিল সময়ের সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট আকার ধারণ করে। তবে বিশ বছরের পর তিলের আকার দ্রুত পরিবর্তিত হলে, বিশেষ করে তিলের আকার ১ সেমি এর বেশি হলে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শের প্রয়োজন।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:    

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। 

জাতি: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম। হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: মেলানিনের প্রভাবে তিলের রঙ নির্ধারিত হয়। সূর্যালোকের প্রভাবে তিল বা আঁচিলের রঙের কোনো পরিবর্তন হয় না।

উত্তর: এই ধরনে তিল বা আঁচিল সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। এক্ষেত্রে দ্রুত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত উপায়ে তিলের আকার ও এর অন্যান্য সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব:

  • দিনের যে সময়ে সূর্যের তাপ প্রখর থাকে, বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে ৪টার মধ্যে সরাসরি সূর্যের আলোতে যাওয়া থেকে যতোটা সম্ভব বিরত থাকতে হবে।
  • দিনের বেলা বাইরে বেরানোর আগে (কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে) শরীরের উন্মুক্ত স্থানে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে থাকা অবস্থায় দুই ঘন্টা পরপর সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। এক্ষেত্রে SPF 15 যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
  • সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষার জন্য ফুলহাতা জামা, সানগ্লাস ও হ্যাট ব্যবহার করা যেতে পারে।