বর্ণনা

যেকোনো ধরনের অস্বাভাবিক পিন্ড বা চাকা অংশকে টিউমার বলে। টিউমার সবসময় ক্যান্সার সৃষ্টি করে না। টিউমার ত্বকে আঁচিল বা তিলের মত হতে পারে, আবার ত্বকের নিচের কোষে এমনকি অস্থিতেও হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

সিবাসিয়াস সিস্ট (Sebaceous cyst)	প্যারোনাইকিয়া (Paronychia)
গ্যাংলিওন সিস্ট (Ganglion cyst)	ইনজুরি টু দি ফিঙ্গার (Injury to the finger)
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচ-পি-ভি) ইনফেকশন (Human papilloma virus (HPV) infection)	অস্টিওকন্ড্রোমা (Osteochondroma)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

হাতে এবং আঙ্গুলে ব্যথা (Hand or finger pain)	পায়ে শক্ত পিণ্ড দেখা দেওয়া (Leg lump or mass)
হাতে বা আঙ্গুলে দুর্বলতা অনুভব করা (Hand or finger weakness)	কব্জিতে শক্ত পিণ্ড দেখা দেওয়া (Wrist lump or mass)
ওজন বৃদ্ধি (Weight gain)	পায়ের পাতায় শক্ত পিণ্ড বা চাকা দেখা দেওয়া (Foot or toe lump or mass)
পিঠে শক্ত পিণ্ড বা চাকা দেখা দেওয়া (Back mass or lump)	কানে চুলকানি (Itchy ear)
ত্বক ফুলে যাওয়া (Skin swelling)	হাতের মাংসেপশী ফুলে যাওয়া (Hand or finger swelling)
বাহুতে শক্ত পিণ্ড দেখা দেওয়া (Arm lump or mass)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এ লক্ষণের জন্য ঝুকিপূর্ণ বিষয়গুলো হলোঃ

• ক্ষতিকর রশ্মির সংস্পর্শে থাকা।
• বাত রোগ।
• স্থূলতা।
• ধূমপান করা।
• পুষ্টির অভাব।
• এমন কোনো কাজ করা যার কারণে অস্থিসন্ধিতে চাপ পড়ে। বিভিন্ন খেলাধূলা যেমন- জিমন্যাস্টিক বা টেনিস খেললে এই সমস্যা বেশি হয়।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

• (ক) মধ্যমা অঙ্গুলি ও হাতের সংযুক্ত অস্থিসন্ধিতে পিন্ড হলে তা কি নির্দেশ করে?

উত্তরঃ যদি পিন্ডটি হাতের কব্জির উপরের অংশে বা তালুতে হয়ে থাকে তবে সেক্ষেত্রে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। হাতের আঙ্গুলগুলো বারবার খোলা ও বন্ধ করার (মুষ্টিবদ্ধ করা) মাধ্যমে আরামবোধ হয়। কোনো প্রকার আঘাত বা ফ্র্যাকচারের কারণে কব্জির উপরের অংশে পিন্ড হতে পারে। হাতের তালুতে পিন্ড হলে তাকে গ্যাংলিওন (Ganglion)বলে।

হেলথ টিপস্‌

অনেকেই টিউমার ক্ষতিকর নয় তা জানার পর আর চিকিৎসা করাতে চান না। এর ফলে ধীরে ধীরে টিউমারটি বড় হয়ে যায় এবং অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে। টিউমারের চিকিৎসা করানো না হলে এর ভাল ও খারাপ প্রভাব সম্পর্কে জানতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।