কানে চুলকানি (Itchy ear)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

কানের চুলকানী এমন একটি সমস্যা যার কারণে কানের নির্দিষ্ট অংশ বারবার চুলকাতে ইচ্ছে করে এবং এর ফলে ঐ স্থানটি লালবর্ণ ধারণ করে, ফুলে যায় ও সেখানে  ব্যথা-জ্বালাপোড়া হয়। বারবার চুলকানোর ফলে ঐ স্থানটিতে দাগ হয়ে যায়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এই সমস্যাটিকে বলা হয় প্রুরাইটাস (Pruritus)। বারবার চুলকানির কারণে সাময়িকভাবে আরামবোধ হলেও পরবর্তীতে ইনফেকশন হতে পারে। তাই এই অবস্থায় কান বারবার চুলকানো উচিত নয়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এ লক্ষণের জন্য ঝুকিপূর্ণ বিষয়গুলো হলোঃ

  • শুষ্ক ত্বক (Dry Skin)
  • ইয়ার ক্যানাল ডার্মাটাইটিস (Ear Canal Dermatitis)
  • কানের ইনফেকশন বা অটাইটিস মিডিয়া (Otitis Media (Ear Infection))
  • সোরিয়াসিস (Psoriasis)
  • কানে শোনার যন্ত্রের ব্যবহার (Hearing Aid Use)
  • সাঁতার কাটা (Swimming)

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতি: কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ এর কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সাবান বা সাবান জাতীয় দ্রব্য ব্যবহারের পর তা পানি দিয়ে ধোয়া সত্ত্বেও ত্বকে সাবানের স্তর লেগে থাকে যার ফলে ত্বক সাদা মনে হয়। এই সমস্যা তীব্র আকার ধারণ করলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব:

  • সাঁতার কাটা বা গোসলের সময় পানি এবং হেয়ার স্প্রে বা শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় তা যেন কানে না ঢুকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • কটন বাড দিয়ে কান পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • কানে যেন ময়লা না জমে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।