পিঠ ফুলে যাওয়া (Back swelling)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

সমগ্র পিঠ বা পিঠের অংশ বিশেষের আকার বৃদ্ধি পাওয়া। ত্বক (শক্তভাব, লাল, গরম, ধুকধুক করা), বা মেরুদণ্ড (মেরুদণ্ডের সন্ধির আকার বৃদ্ধি পাওয়া) ফুলে ওঠা। এই সমস্যার কারণে পিঠে চাপ প্রয়োগ করলে সেই স্থানে পিণ্ড অনুভূ্ত হয়।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

  • গ্যাংলিওন বা আব (Ganglion)
  • অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis)
  • ইনফেকশন (Infection)
  • অ্যানিউরিজম (Aneurysm)
  • হেমাটোমা (Hematoma)
  • ফ্র্যাকচার (Fracture)
  • স্কার টিস্যু (Scar tissue)
  • লিম্ফ্যাডেনোপ্যাথি (Lymphadenopathy)
  • ব্যাক ইনজুরি (Back injury)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

জাতি:  শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৪১ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১৪ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: বিভিন্ন কারণে এই সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে। ফুলে ওঠার সমস্যা সাধারণত পা এবং পেটের নিচের অংশে দেখা যায়। পেটের উপরের অংশ, বুক এবং পিঠ ফুলে উঠলে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস পরীক্ষা করে দেখা লাগতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা  দেখা দিলে আগে চিকিৎসকের  পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

 

উত্তরঃ মাংসপেশীতে টান লাগার ফলে এমন হতে পারে। এই সমস্যা হলে স্থানটি ফুলে ওঠে এবং বিপরীত পাশের তুলনায় বেশি শক্ত হয়ে যায়্।

হেলথ টিপস্‌

  • প্রথমে বরফ, পরে তাপ প্রয়োগ: বরফ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ফুলে ওঠা স্থানে বরফ প্রয়োগ করলে সাময়িকভাবে ফোলা ভাবও কমে যায়। একটি আইস প্যাক তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে প্রতিবার ২০ মিনিট করে দিনে বেশ কয়েকবার ব্যথাযুক্ত স্থানের উপর রেখে দিতে হবে। প্রয়োজন হলে প্রথম প্রথম এই প্রক্রিয়া বারবার চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে শারীরিক পরিশ্রমের পর বা ব্যায়াম করার পরও আপনি বরফ প্রয়োগ করতে পারেন। বরফ প্রয়োগের ৪৮ ঘন্টা পর উক্ত স্থানে গরম ভাপ (আর্দ্রতাপূর্ণ) প্রয়োগ করতে হবে। গরম ভাপের ফলে ওই স্থানের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং মাংসপেশী শিথিল হবে।
  • পিঠে চাপ পড়তে না দেওয়া: এমন ভাবে চলাফেরা করুন যাতে পিঠে চাপ না পড়ে। বসার সময়ও আপনাকে এ ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। এছাড়া শরীরের অঙ্গগুলি ব্যথা কমানোর অনুকূল অবস্থায় আনার জন্য দুই পায়ের উপর সমান ভর দিয়ে দাঁড়ান। এবার শ্রোণী/হিপ সামনে-পিছনে করতে থাকুন। যে অবস্থায় থাকলে আপনার ভালো বোধ হয়, সেই অবস্থায় থাকতে চেষ্টা করুন।
  • মাসাজ: মাসাজের মাধ্যমেও আপনি উপকার পেতে পারেন। মাসাজের সময় পিঠের জন্য ব্যবহৃত ক্রিমও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ব্যবহৃত ক্রিমের কারণে যাতে পিঠে চুলকানি/জ্বালপোড়া সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।