কনুইয়ের মাংসপেশীতে টান ধরা (Elbow cramps or spasms)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মাংসপেশীর বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক ও অনৈচ্ছিক সংকোচন-প্রসারণের জন্য খিঁচুনি/টান হয়। এ অবস্থায় খিঁচুনিসহ ব্যথা হতে পারে। সাধারণত পায়ের নিচের অংশের পেছনের দিকে, উরুর পেছনের দিকে এবং উরুর সামনের অংশে খিঁচুনি বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও পায়ের পাতা, হাত, বাহু ও পেটের অভ্যন্তরের প্রাচীরে খিঁচুনি হতে পারে। রাতে ঘুমানোর সময় মাংসপেশীতে খিঁচুনি/টান দেখা দিলে  ঘুম নষ্ট হতে পারে ও হাঁটাচলার ক্ষেত্রে অসুবিধা হতে পারে। আবার কখনও কখনও ত্বকের নিচে পেশীর টিস্যু পিণ্ডের আকার ধারণ করলে মাংসপেশীতে খিঁচুনি/টান দেখা দেয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যায়াম করলে, বিশেষ করে গরমের সময়ে টান ধরতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিলে ও ঔষধ ব্যবহারের কারণেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে খিঁচুনি/টানের চিকিৎসা করা সম্ভব।

ডায়াবেটিক ইনসিপিডাস (Diabetes insipidus) টেস্টিকুলার টরশন/মোচড়ানো অণ্ডকোষ (Testicular torsion)
ওরাল লিউকোপ্লাকিয়া (Oral leukoplakia) প্রেসবাইএকিউসিস (Presbyacusis)
কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং (Carbon monoxide poisoning) ট্রাইকাসপিড ভাল্ভ ডিজিজ (Tricuspid valve disease)
গলব্লাডার ক্যান্সার (Gallbladder cancer) অ্যাড্রেনাল অ্যাডেনোমা (Adrenal adenoma)
জি-৬-পি-ডি এনজাইম ডেফিসিয়েন্সি (G6PD enzyme deficiency) হার্ট কনটিউশন (Heart contusion)
হেমারথ্রোসিস (Hemarthrosis) কোরিওরেটিনাইটিস (Chorioretinitis)
এমফাইসিমা (Emphysema) সিস্টিসারকোসিস (Cysticercosis)
ডিজলোকেশন অফ দি ফুট (Dislocation of the foot) ডিসোশিয়েটিভ ডিজঅর্ডার (Dissociative disorder)
এন্ডোমেট্রিয়াল হাইপারপ্ল্যাসিয়া (Endometrial hyperplasia) এপেন্ডাইমোমা (Ependymoma)
পালমোনিক ভাল্ভ ডিজিজ (Pulmonic valve disease) কাপোসি সারকোমা (Kaposi sarcoma)
ফ্যাক্টিশাস ডিজঅর্ডার (Factitious disorder) ভলভুলাস (Volvulus)
হিস্টোপ্লাসমোসিস (Histoplasmosis) মোয়ামোয়া ডিজিজ (Moyamoya disease)
নেক্রোটাইজিং ফ্যাসাইটিস (Necrotizing fasciitis) ওমফ্যালাইটিস (Omphalitis)
অটোস্ক্লেরোসিস (Otosclerosis) প্যাজেট ডিজিজ (Paget disease)
প্ল্যাসেন্টাল অ্যাব্রাপশন (Placental abruption) অ্যাটনিক ব্লাডার (Atonic bladder)
হাইপারট্রোফিক অবস্ট্রাক্টিভ কার্ডিওমায়োপ্যাথি (এইচ-ও-সি-এম) (Hypertrophic obstructive cardiomyopathy (HOCM)) পেলভিক ফিস্টুলা (Pelvic fistula)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১২ গুণ বেশি। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি।

জাতি: শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১৩ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

হেলথ টিপস্‌

এই লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে করণীয়:

  • প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। একজন ব্যক্তির বয়স ও কাজ ভেদে দেহের পানির প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হতে পারে। তাই দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করতে হবে। দেহের পর্যাপ্ত পানির উপস্থিতি মাংসপেশীর সংকোচন-প্রসারণে সাহায্য করে ও পেশীতে পানিশূন্যতা রোধ করে।
  • অধিক পরিশ্রমের পর স্ট্রেচিং করতে হবে। কারো রাতে ঘুমের সময় পায়ে খিঁচুনি দেখা দিলে, ঘুমানোর আগে হালকা স্ট্রেচিং করে নেওয়া ভালো। এছাড়াও ঘুমানোর আগে যেকোনো ধরনের হালকা ব্যায়াম ঘুমের সময় পায়ের খিঁচুনি প্রতিরোধে সাহায্য করে।