পড়তে বা শিখতে সমস্যা (Dyslexia)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

স্বাভাবিক দৃষ্টি ও বুদ্ধিমত্তা থাকা সত্ত্বেও শিশুদের কোনো কিছু অনর্গলভাবে পড়তে ও বুঝতে সমস্যা হওয়াকে ডিসলেক্সিয়া বলে। ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের ভাষার ধ্বনি, এবং ধ্বনি কীভাবে বর্ণ ও শব্দের সাথে সম্পর্কযুক্ত, তা বুঝতে সমস্যা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ডিসলেক্সিয়া দীর্ঘ দিন অনির্ণিত অবস্থায় থেকে যেতে পারে, এবং শিশু প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া অব্দি এই সমস্যা ধরা নাও পড়তে পারে। ডিসলেক্সিয়ার কোনো চিকিৎসা নেই। এটি মূলত মস্তিষ্কের ক্রিয়াকে প্রভাবিত করে এমন কিছু বংশগত বৈশিষ্ট্যের কারণে সৃষ্টি হয়। তবে বিশেষ চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে। এছাড়া শিশুর পরিবারের সদস্যদের সাহায্যও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

  • পরিবার/বংশে ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি থাকা।
  • পাঠ করার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের যে অংশগুলি ভূমিকা রাখে, সেই অংশগুলিতে ভিন্নতা থাকা (ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে)।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৪৭ গুণ কম।

জাত: শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পরতা সম্ভাবনা থাকে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১৫ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৭ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ নির্দিষ্ট কিছু লক্ষণ দেখে। কোনো ব্যক্তি প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর তার ডিসলেক্সিয়া হয় না। সাধারণত ৭-৮ বছর বয়স্ক শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা প্রথম দেখা যায়। শিশুদের বয়স ১০ বছরের বেশি হওয়ার পর খুব কমক্ষেত্রে এই সমস্যা ধরা পড়ে। ৭ বছরের পূর্বে অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যার কিছু লক্ষণ দেখা দিলেও পরবর্তীতে সেগুলি কমে যায়।    

হেলথ টিপস্‌

ডিসলেক্সিয়া প্রতিরোধ করার কোনো উপায় নেই। তবে যেহেতু ডিসলেক্সিয়া সৃষ্টিকারী স্নায়বিক সমস্যাগুলি শিশু গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, এবং যেহেতু স্বাভাবিক সময়ের পূর্বে জন্মগ্রহণকারী ও জন্মের সময় কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নারীদের সঠিকভাব স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে চলা উচিৎ।