লক্ষণটি প্রস্রাব পরিমাণে কম হওয়া ও অলিগুরিয়া (Oliguria) নামেও পরিচিত।
দৈনিক
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার পরও প্রসাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা
প্রস্রাব না হওয়া কিডনির সমস্যার কারণে হতে পারে। কিডনির স্বাভাবিক
ক্রিয়াশীলতা ব্যাহত হলে কিডনি সঠিকভাবে তরল ও ইলেকট্রোলাইটের
(electrolytes) ভারসাম্য রাখতে, এবং শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ করতে ব্যর্থ
হয়। এছাড়া এ কারণে রক্তের লোহিত কণিকার উৎপাদন (কিডনিতে উৎপন্ন হওয়া এক
প্রকার পদার্থ এই উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে) কমে যায়। পানিশূন্যতা ও
মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাতের মতো কারণে কিডনিতে রক্তের সরবরাহ কমে গেলেও
প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যেতে পারে। টিউমার ও প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া এবং
মূত্রাশয়ের সমস্যার জন্য প্রস্রাব নির্গত হতে বাধা প্রাপ্ত হলেও কিছু
ক্ষেত্রে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিডনি ফেইলিওরের
জন্য প্রস্রাব কম হওয়ার সমস্যা হলে তা অ্যাকিউট (acute) [বিষক্রিয়া ও
সেপসিসের (sepsis) কারণে] বা ক্রনিক (chronic) হতে পারে। ক্রনিক রেনাল
ফেইলিওরের (Chronic renal failure) মাত্রা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়।
ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করার ফলস্বরূপও এই সমস্যা
হতে পারে।
নিম্নোলিখিত বিষয়গুলি প্রস্রাব কম হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে-
যথেষ্ট পরিমাণ পানীয় পান না করা, বমি, ডায়রিয়া ও জ্বরের কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা।
মূত্রনালী সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যাওয়া।
অ্যান্টিকলিনারজিক (anticholinergics), ডিউরেটিক(diuretics) ও কিছু অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ।
রক্তপাত।
তীব্র ইনফেকশন বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা যার কারণে শক (shock) হতে পারে।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাত:
শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।
হিস্প্যানিক, কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা
দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
হেলথ টিপস্
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানীয় পান করুন। এছাড়া চিকিৎসক নির্দেশ দিলে প্রস্রাবের পরিমাণ পরিমাপ করুন।