ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাব জনিত রোগ (Vitamin D deficiency)
শেয়ার করুন
বর্ণনা
হাইপোভিটামিনোসিস ডি (Hypovitaminosis D) ভিটামিন ‘ডি’ এর অভাবের কারণে
হয়ে থাকে। ভিটামিন ‘ডি’ যুক্ত খাবার কম খেলে এবং পরিমিত সূর্যের আলো
(আলট্রাভায়োলেট বি রশ্মি) না পেলে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ এর পরিমাণ কমে যায়। লিভারের রোগ,
কিডনির রোগ ও জিনগত রোগের মতো যেসব রোগ শরীরে ভিটামিন 'ডি'-কে সক্রিয় মেটাবলিজমে পরিণত করে সেগুলি থেকেও দেহে ভিটামিন 'ডি'-এর অভাব সৃষ্টি হতে পারে। এই কারণে হাড়ে খনিজ পদার্থের শোষণ ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলস্বরূপ হাড় নরম হয়ে
যায় এবং কিছু রোগের সৃষ্টি হয়, যেমন- শিশুদের ক্ষেত্রে রিকেট্স (rickets),
এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে অস্টিওপরোসিস (osteoporosis)।
কারণ
সাধারণত নিম্নলিখিত কারণে
এই রোগ হয়ে থাকে:
লক্ষণ
এই
রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি
চিহ্নিত করে থাকেন:
নিম্নলিখিত কারণে ভিটামিন ডি এর অভাবজনিত রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে:
যারা
বেশিরভাগ সময় ঘরের মধ্যে থাকার কারণে সূর্যের আলোর সংস্পর্শে কম আসে এবং
যাদের বয়স ৬৫ বছরের উর্ধ্বে।
শরীরকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরিধান করা।
ক্রনিক
অসুস্থতা (chronic illness), অক্ষমতা, অথবা ত্বকের ক্যান্সারের সম্ভাবনা
বেড়ে যাতে পারে এমন অবস্থার (যেমন যেমন অঙ্গ
প্রতিস্থাপন করা হলে) কারণে সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা।
দেহে ভিটামিন ডি এর শোষণ কমিয়ে দেয় এমন কোন স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন ক্রন্স ডিজিজ অথবা সিলিয়াক ডিজিজ হওয়া।
শরীর মেদবহুল হওয়া। কারণ শরীর মেদবহুল হলে মেদ ভিটামিন 'ডি' শোষণ করে নেয়। সুতরাং শরীরের বাকি অংশ ভিটামিন ব্যবহার করতে পারেনা।
ভিটামিন ডি নষ্ট করে দেয় এমন ঔষধের (এপিলেপ্সি ঔষধ) ব্যবহার।
যেসব বাচ্চারা স্তন্যপান করে তাদের মায়ের শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকলে ওই বাচ্চাদেরও ভিটামিন 'ডি'-এর অভাব হতে পারে।
''
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ মহিলাদের এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতিঃ হিস্প্যানিক এবং
কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
হেলথ টিপস্
উপরের
বর্ণনা থেকে বলা যায় দেহে ভিটামিন ডি এর স্বাভাবিক মাত্রা ২৫০এইচ-ডি
ত্বকের রঙ, সুর্যের আলো, খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসার উপর নির্ভর করে।
সামগ্রিকভাবে
প্রাপ্ত বয়স্কদের দেহে ভিটামিন ডি এর স্বাভাবিক মাত্রা বাজায় রাখতে
প্রতিদিন ৮০০ আন্তর্জাতিক ইউনিট সম্পন্ন ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে হবে। বয়স্ক
ব্যাক্তিরা যারা ঘরের ভিতরে বেশি থাকা হয় তারাও এই মাত্রায় ভিটিমিন ডি
গ্রহন করতে পারেন।
সকল নবজাতক এবং শিশুদের জন্মের পর থেকে ৪০০
আন্তর্জাতিক ইউনিট সম্পন্ন ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
নবজাতক এবং শিশুদের ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত যে সকল মাল্টি ভিটামিন দেওয়া
হয় তাদের মধ্যে ভিটামিন ডি কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।