বাহুর দুর্বলতা (Arm weakness)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

বাহুতে শক্তির অভাব হওয়া এবং সে কারণে বাহু নড়াচড়া করার ক্ষমতা লোপ/হ্রাস পাওয়াকে বাহুর দুর্বলতা বলে। বাহুর দুর্বলতা হঠাৎ করেই দেখা দিতে পারে, বা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে পারে। দুই বাহুতেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরের অন্যান্য অংশের দুর্বলতার সাথেও বাহুর দুর্বলতা হওয়া সম্ভব। এছাড়া হাতে ব্যথাসহ অন্যান্য লক্ষণের সাথেও বাহুর দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যার কারণে বাহু নাড়াতে বা হাত দিয়ে দৈনন্দিনের কাজ করতে অসুবিধা হয়।

কিছু ক্ষেত্রে থেরাপির মাধ্যমে বাহুর শক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব। বাহুর দুর্বলতার সাথে যদি ব্যথাও সৃষ্টি হয় তাহলে ব্যথারোধী ঔষধ গ্রহণ করে দুটি সমস্যাই দূর করা যেতে পারে। বাহুর দুর্বলতার চিকিৎসা মূলত দুর্বলতা সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণের উপর নির্ভর করে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে:  যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পরতা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাত: সব জাতির মানুষের মধ্যে এই রোগ নির্ণয় হওয়ার গড়পরতা সম্ভাবনা থাকে।

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ : এই সমস্যা ঘাড়ের পিঞ্চ্‌ড নার্ভের (pinched nerve) একটি লক্ষণ হতে পারে। যেসব স্নায়ুগুলি বাহুকে নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলি মস্তিষ্ক থেকে ঘাড়ের মধ্য দিয়ে বাহুতে আসে। যদি আঘাতের ফলে ঘাড়ের মধ্য দিয়ে আসা এই স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত বা সংকুচিত হয়, তাহলে হাতে ব্যথা, অবশ ভাব এবং দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।