মাংসপেশীর দুর্বলতা (Muscle weakness)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যাওয়াকে মায়াস্থেনিয়া (myasthenia) বলে। কখনো কখনো আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যে মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়েছে। মাংসপেশীতে যদি প্রকৃতপক্ষে দুর্বলতা থাকে তবে তা অস্থির সাথে সংযুক্ত মাংসপেশীর বিভিন্ন সমস্যা যেমন মাসকুলার ডিসট্রফি (muscular dystrophy) বা ইনফ্লামেটরি মায়োপ্যাথির (inflammatory myopathy) লক্ষণ হতে পারে। আবার, নিউরোমাসকুলার জাংশন ডিজঅর্ডার যেমন মায়াস্থেনিয়া গ্রেভিসে (myasthenia gravis) আক্রান্ত ব্যক্তির এ লক্ষণ দেখা দিতে পারে। দেহে পটাশিয়াম ও পেশীকোষে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা হ্রাস পেলেও মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়ে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

এ লক্ষণের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো সুনির্দিষ্ট নয়। অন্যান্য শারীরিক সমস্যার সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের প্রভাবে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। আবার কখনো কখনো কোন ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়ের প্রভাব ছাড়াই একজন ব্যক্তির মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পড়ে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।  মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা  ২ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ হাইপারক্যালেমিয়ায় আক্রান্ত হলে পেশীকোষে ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে পেশী স্বাভাবিকভাবে সংকুচিত হতে পারে না এবং দুর্বল হয়ে যায়। মাংসপেশীর স্বাভাবিক সংকোচন-প্রসারণের জন্য দেহে ইলেক্ট্রোলাইট ও পটাশিয়ামের সঠিক মাত্রা থাকা প্রয়োজন। 

হেলথ টিপস্‌

মাংসপেশীর দুর্বলতা প্রতিরোধে করণীয়ঃ

  • দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বা এক ভঙ্গিতে বসে থাকা উচিত নয়। বসার স্থান আরামদায়ক হতে হবে ও প্রয়োজনে নরম বালিশ ব্যবহার করতে হবে। বসার সময় আপনার হাঁটু ও নিতম্ব একই সমতলে রাখুন।
  • সঠিক ভঙ্গিমায় দাঁড়াতে হবে ও বসতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে একই ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলে একই পায়ের উপর বেশিক্ষণ ভর বা চাপ দেওয়া উচিৎ নয়।
  • কোন ভারী বস্তু উত্তোলনের সময় সাবধানতার সাথে ও সঠিক ভঙ্গিমায়  অর্থাৎ পায়ের উপর ভার দিয়ে, হাঁটু বাঁকা করে ও পিঠ সোজা রেখে তুলতে হবে।
  • কোন কাজ শুরু করার আগে ও পরে হালকা স্ট্রেচিং করে নিতে হবে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
  • দেহের কর্মক্ষমতা অনুযায়ী পরিশ্রম করতে হবে।