হঠাৎ করে শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যাওয়াকে হাইপারভেন্টিলেশন (Hyperventilation) বলে। অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগের সামঞ্জস্যতা থাকলে তাকে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বলে। দেহে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি দ্রুত হয়ে যায়। কারণ কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমে গেলে মস্তিষ্কে রক্ত পরিবহনকারী রক্তনালী সরু হয়ে যায়। মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে গেলে মাথা ঝিমঝিম করে এবং হাত পা কাঁপতে থাকে। কখনো কখনো ব্যক্তি অচেতনও হয়ে যেতে পারে। ভয় পেলে বা দুশ্চিন্তার কারণেও হাইপারভেন্টিলেশন হতে পারে। এই সমস্যাটি খুব ঘন ঘন হলে তাকে হাইপারভেন্টিলেশন সিন্ড্রোম বলে।
স্ট্রোক বা মাথায় কোনো ধরনের আঘাতের কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়া।
অ্যাসপিরিন জাতীয় কোনো ঔষধ খওয়া।
গর্ভাবস্থা।
লিভার সিরোসিস।
স্নায়ুতন্ত্রে প্রদাহ বা টিউমার।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি।