এই অবস্থায় স্ক্রোটাম বা অণ্ডথলিতে বারবার চুলকানি হয়। এই সমস্যাটি
প্রুরাইটাস স্ক্রোটি (Pruritus Scroti) নামেও পরিচিত। কুচকিতে (Groin)
ইনফেকশনের ফলে ব্যথা ও চুলকানি হয় যার কারণে ব্যক্তি অস্বস্তিবোধ করে।
কুঁচকির এই ইনফেকশন অন্ডথলিতে ছড়িয়ে পরতে পারে। যে কারণে এই সমস্যাটি হয় তা
নির্ণয় করতে হবে এবং তার চিকিৎসা করাতে হবে। এভাবেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি
পাওয়া সম্ভব।
কারণ
অতিরিক্ত গরম ও আর্দ্রতা, আঁটোসাঁটো পোশাক পরিধান করা বা দেহের যেকোনো অংশে
ফাঙ্গাল বা ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থাকলে তার কারণে এই সমস্যা হয়ে
থাকে। ক্যান্ডিডা (Candida) , ট্রাইকোফাইটন (Trichophyton), এবং এপিডার্মোফাইটন (Epidermophyton) নামক ফাঙ্গাস ও ইস্টের দ্বারা ইনফেকশন হয়।
এই সমস্যাটি প্রাপ্তবয়স্ক
বা মধ্যবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে বিভিন্ন রোগের জন্য এই লক্ষণ
বেশি দেখা যায়- ডায়াবেটিস, স্থূলতা, এইডস, হেপাটাইটিস, গুরুতর অসুস্থতা,
ক্যান্সার, সিস্টেমিক কেমোথেরাপি ইত্যাদি। আবার নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ যেমন-
প্রেডনিসোন ব্যবহারের ফলেও এই সমস্যাটি হতে পারে।
এছাড়াও অতিরিক্ত
গরম ও আর্দ্রতা, স্থূলতা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, পরিশ্রম, দেহের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কমে যাওয়া, আঁটোসাঁটো পোশাক পরিধান করা বা দেহের যেকোনো অংশে
ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি।
জাতিঃ
হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও
কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যান্যদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১০ গুণ কম।
উত্তরঃ এই সমস্যাটি দাদের কারণে হয়ে থাকতে পারে। দাদ হলো এক ধরনের ফাঙ্গাল
ইনফেকশন। এটি রিং ওয়ার্ম (Ring worm) নামেও পরিচিত। এ অবস্থায় যত দ্রুত
সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
হেলথ টিপস্
নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ
যে
কারণে এই লক্ষণ দেখা যায় তার উপর এর চিকিৎসা নির্ভর করে। ফাঙ্গাল ইনফেকশন ও
অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে এই সমস্যা বেশি হয়। এ অবস্থায় আক্রান্ত স্থান
পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখতে হবে। এছাড়াও প্রায় ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত
অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রীম ব্যবহার করতে হবে।