নাকের বিকৃতি (Nose deformity)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

নাকের আকার অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়া সমস্যাটি জন্মগত হতে পারে [যেমন- সেপটাম (septum) সরে যাওয়া] বা জন্মের পরও হতে পারে (যেমন- দূর্ঘটনার পর নাক বেঁকে যাওয়া)।

নাক মুখমণ্ডলের গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নাকের বিকৃতি মুখমণ্ডলে অনেকাংশে পরিবর্তন সৃষ্টি করে, এবং এর কারণে নাকে নানা ধরনের জটিলতাও দেখা দিতে পারে। নাকের বিকৃতিকে কসমেটিক (cosmetic) ও ফাঙ্কশনাল (functional)- এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। কসমেটিক বিকৃতির কারণে নাক দেখতে অস্বাভাবিক লাগে। ফাঙ্কশনাল  বিকৃতির ফলে নাকে আবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া, নিঃশ্বাসে শব্দ হওয়া, নাক ডাকা, গন্ধ বা স্বাদের অনুভূতি হ্রাস, নাক দিয়ে রক্ত পড়া এবং বারবার সাইনোসাইটিস (sinusitis) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এছাড়া বেঁকে যাওয়া সেপটাম (septum) [নাকের মধ্যাংশের একটি অংশ, যা তরুণান্থি ও হাড় দ্বারা গঠিত], অপ্রতিসম নাকের হাড়, ক্ষত টিস্যু (scar tissue), দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত নাকের গঠন, বা নাকের একটি অংশ নাকের অন্যান্য অংশ বা মুখের তুলনায় সমানুপাতে না থাকার ফলে নাকের কসমেটিক ও ফাঙ্কশনাল বিকৃতি হতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

জাত: হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২৯ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ নাকের আগার উপরে এবং ত্বকের নিচে স্কার টিস্যু সৃষ্টি হলে, এবং সার্জারির মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণ ডরসাম (dorsum) অপসারিত না হলে এই সমস্যা দেখা দেয়।

রিভিশন রাইনোপ্লাস্টির (revision rhinoplasty) মাধ্যমে সমস্যাটি দূর করা সম্ভব।

উত্তরঃ শিশুদের ক্ষেত্রে জন্ম থেকে ৩ মাস সময়ের মধ্যে কিছু কালচার প্র্যাকটিস (culture practice) কাজে লাগতে পারে। কার্যকর হলেও এ ব্যাপারে যথেষ্ট গবেষণা করা হয়নি।