এই সমস্যার কারণে একজন ব্যক্তির অতিরিক্ত মাত্রায় যৌন চাহিদা দেখা দেয়। এর ফলে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক, পর্নোগ্রাফি, স্ট্রিপ ক্লাবে যাওয়া অথবা ঘন ঘন হস্থমৈথুন করার অভ্যাস গড়ে ওঠে।
কারণ
মানসিক ও আবেগজনিত সমস্যা, পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার বা শৈশবে যেকোনো মানসিক আঘাত বা যৌন নির্যাতনের শিকার হলে একজন ব্যক্তির মধ্যে মাত্রাধিক যৌনাকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হতে পারে। আবার বিভিন্ন মানসিক অসুস্থতা (যেমন-বিষণ্নতা, বাইপোলার ডিজঅর্ডার এবং অবসেসিভ-কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার) দেখা দিলে পরবর্তীতে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এপিলেপ্সি, ডিমনেশিয়া ও মাথায় আঘাত পাওয়ার কারণেও এ লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ ব্যবহারের ফলেও এ লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ
এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ
যেসব কারণে বিকৃত যৌনাকাঙ্ক্ষা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলোঃ
বিভিন্ন রকম মানসিক অসুস্থতা।
মাদকাসক্তি।
শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২৪ গুণ কম।
জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ বেশি। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৬ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম।
উত্তর; যৌনআসক্ত ব্যক্তিরা সময়ের সাথে সাথে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের জীবন সম্পূর্ণভাবে অস্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। চাইলেও এ সমস্যা থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারে না।
হেলথ টিপস্
এই সমস্যা দেখা দিলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করা যেতে পারে-
প্রথমত আপানার নিজের এই সমস্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে, এবং একই সাথে এটিও বুঝতে হবে এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার জন্য অন্যের সহায়তার প্রয়োজন।
এই ক্ষেত্রে দুই ধরনের ব্যক্তির কাছ থেকে আপনি সাহায্য নিতে পারেন-
বিশেষজ্ঞঃ কোনো মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতা অথবা শৈশবের কোনো মানসিক আঘাতের করণে এ সমস্যা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
বন্ধুবান্ধবঃ কাছের বন্ধুদের সাথে এ ব্যাপারে খোলাখুলিভাবে আলোচনা করা যেতে পারে ও তাদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
সর্বোপরি আপনার আরোগ্যলাভকে অগ্রাধিকার দিতে হবে ও জীবনের গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে হবে।
এছাড়াও ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষালাভের মাধ্যমে আপনার আচরণ ও অভ্যাসের মধ্যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন।