বর্ণনা

লক্ষণটি জেগে থাকতে অসুবিধা হওয়া ও ঝিমঝিম ভাব হিসেবেও পরিচিত।

ঘুম ঘুম ভাব বলতে দিনের বেলায় ঘুমানোর তীব্র ইচ্ছাকে বোঝায়। অত্যাধিক পরিমাণে ঘুম ঘুম ভাব স্লিপ ডিজর্ডারের কারণে হয়ে থাকতে পারে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

স্থূলতা (Obesity)	হাইপোগ্লাইসেমিয়া (Hypoglycemia)
কার্বন মনোক্সাইড পয়জনিং (Carbon monoxide poisoning)	রেস্টলেস লেগ সিন্ড্রোম (Restless leg syndrome)
কনকাশন (Concussion)	ইন্টারস্টিশিয়াল লাং ডিজিজ (Interstitial lung disease)
প্রাইমারী ইনসমনিয়া (Primary insomnia)	নারকোলেপসি (Narcolepsy)
অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপ্নিয়া (Obstructive sleep apnea (OSA))	প্যাজেট ডিজিজ (Paget disease)
পিঙ্গুয়েকুলা (Pinguecula)	টরেট সিন্ড্রোম (Tourette syndrome)
উইলসন ডিজিজ (Wilson disease)

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় অস্বাভাবিক শব্দ হওয়া (Abnormal breathing sounds)	শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া (Apnea)
অবসাদ (Fatigue)	অনিদ্রা (Insomnia)
শ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দেওয়া (Difficulty breathing)	মাথা ব্যথা(Headache)
ক্ষুধামন্দা/ ক্ষুধা কমে যাওয়া (Decreased Appetite)	অস্বাভাবিক অনৈচ্ছিক নড়াচড়া (Abnormal involuntary movements)
ওজন বৃদ্ধি (Weight gain)	খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া (Difficulty in swallowing)
স্মৃতিশক্তির সমস্যা (Disturbance of Memory)	অস্থিরতা (Restlessness)

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

দিনের বেলায় ঘুম ঘুম ভাব হওয়ার সাথে মেদবহুল শরীর, অ্যাজমা ও  উদ্বিগ্নতা/অবসাদ সম্পর্কযুক্ত।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতি:  শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

• (ক) কফি পান করলে কি কিছু কিছু ব্যক্তির ঘুম ঘুম বোধ হয়?

উত্তরঃ এই বিষয়টি কফি পান করার সময়ের উপর নির্ভরশীল।  কফি পান করার সাথে সাথে সাধারণত কেউ ঘুম ঘুম বোধ করে না। কফিতে বিদ্যমান ক্যাফেইন অ্যাডেনোসিন (adenosine) নামক এক ধরনের  ট্রান্সমিটারের ক্রিয়াশীলতাকে রোধ করে, এর ফলে সতেজভাব অনুভূত হয়।  পরবর্তীতে কফির প্রভাব কমে (৪ ঘন্টা নিষ্ক্রিয় হয়) আসতে থাকলে অ্যাডেনোসিন  সক্রিয় হয়, ফলে কফি পানকারী ব্যক্তির  ঘুম ঘুম ভাব হয়ে থাকে।

হেলথ টিপস্‌

ঘুম ঘুম ভাব দূর করার একটি উপায় হলো প্রতি রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় ধরে ঘুমানো। সম্পূর্ণরূপে সতেজ বোধ করার জন্য বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন হয়। অসুস্থ বা অধিক সক্রিয় ব্যক্তিদের ৮ ঘন্টার চেয়েও বেশি সময় ঘুমানোর প্রয়োজন হতে পারে।

মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ও বিষণ্নতার লক্ষণ দেখা দিলে, বা অনিয়ন্ত্রিত মানসিক চাপ ও উদ্বিগ্নতা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।