পা বাঁকিয়ে যাওয়া (Bowlegged or knockkneed)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

যে বয়সে শিশুরা হাঁটতে শেখে সে সময় তাদের পা কিছুটা বাঁকা দেথাতে পারে।  কিন্তু এটি কোনো গুরুতর সমস্যা নয়, কারণ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এটি ঠিক হয়ে যায়। ব্রেসিং (Bracing), ব্যায়াম এবং নির্দিষ্ট ধরনের জুতা এই সমস্যা কমিয়ে আনতে কিছুটা সাহায্য করতে পারে। কিন্তু এই ব্যবস্থা বেশিরভাগ সময় শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির উপর খারাপ প্রভাব ফেলে এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এই সমস্যা খুব কম ক্ষেত্রে কোনো রোগের কারণে হয়ে থাকে। অনেক সময় আর্থ্রাইটিস, ইনফেকশন, টিউমার, ব্লাউন্ট ডিজিজ এবং রিকেটস এর কারণেও পা বাঁকিয়ে যেতে পারে। 

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-  

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ 

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ কম। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২২ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ এই সমস্যাটি স্বাভাবিকভাবেই হতে পারে। অনেক শিশু জন্মগতভাবেই এই সমস্যায় ভোগে এবং এটি প্রায় ২-৩ বছর বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হয়। রিকেট, ব্লাউন্ট ডিজিজ, কোনো ধরনের আঘাত বা ফ্র্যাকচার ও বংশগত কারণে অস্থির বৃদ্ধি অস্বাভাবিক হলে হাঁটু বেঁকে যেতে পারে। অন্য কোনো রোগের কারণেও এই সমস্যা দেখা যেতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব-

  • নিয়মিত অনুশীলন করা।
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করা।
  • যে স্থানে ব্যথা হয়, ওই স্থানে ঠান্ডা বা গরম পানির সেক দেওয়া।
  • ব্যথাযুক্ত স্থানে স্থানে মলম ব্যবহার করা।