বেশিরভাগ শিশুর সঠিকভাবে হাঁটা শিখতে ১০ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে। হাঁটা
শেখার পর ২-৩ বছর পর্যন্ত শিশুদের পা সাধারণত কিছুটা বাঁকানো (হাঁটুর কাছে
বাইরের দিকে) থাকে। মাতৃগর্ভে থাকার সময় শিশুর পায়ের অবস্থানের কারণে এমন
হয়ে থাকে। এটি কোনো শারীরিক সমস্যা নয়। শিশুর স্বাভাবিক সময়ের পূর্বে
হাঁটার সাথেও এর কোনো সম্পর্ক নেই।
শিশুদের পায়ের পাতা বাকিয়ে যাওয়া
একটি সাধারণ লক্ষণ/বৈশিষ্ট্য। মাতৃগর্ভে শিশুদের শরীর বাঁকা অবস্থায় থাকার
কারণে এমন ঘটে থাকে। শিশুদের পায়ের পাতা বাঁকিয়ে যাওয়ার পরও যদি তা সব দিকে
নাড়ানো যায়, তাহলে পরবর্তীতে এই বাঁকানো ভাব স্বাভাবিক ভাবেই ঠিক হয়ে যায়।
সাধারণত শিশুরা হাঁটতে শিখলে তাদের পা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
কারণ
খুব কম ক্ষেত্রে শিশুদের পায়ের পাতা ও গোড়ালির মাংসপেশী ও টেনডনের (tendon)
ত্রুটিপূর্ণ গঠনের কারণে তাদের পায়ের পাতা বাঁকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই সমস্যাটি ট্যালিপ্স ( talipes) ও ‘ক্লাব ফিট (club feet)’ নামেও পরিচিত।
ট্যালিপ্সের সঠিক কারণ এখনো নির্ণয় করা যায়নি। এর কারণে সম্পূর্ণ
মুক্তভাবে পা নড়াচড়া করা যায় না। ট্যালিপ্স দূর করার জন্য কিছু সময়ের জন্য
নিয়মিত ফিজিওথেরাপি ব্যায়াম করা এবং প্লাস্টার ও স্পিল্ট ব্যবহার করা
প্রয়োজন। এগুলির মাধ্যমে পায়ের বিন্যাস স্বাভাবিক করা যায়। তবে এই সমস্যায়
আক্রান্ত শিশুর বয়স বেড়ে গেলে তার অ্যাকিলিস টেনডন বৃদ্ধি ও পায়ের গোড়ালির
সন্ধি মুক্ত করতে সার্জারি করা প্রয়োজন।
লিঙ্গ: পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।
জাত: হিস্প্যানিকদের মধ্যে
এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ বেশি। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ
দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার
সম্ভাবনা ১ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার
গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।
হেলথ টিপস্
শিশুদের পায়ের পাতা বাঁকানো থাকলে তা ঠিক করার জন্য শিশু বিশেষজ্ঞ কিছু
সাধারণ ব্যায়াম করার পরামর্শ দিতে পারেন। এই ব্যায়ামগুলি শিশুর পায়ের
মাংসপেশী নমনীয় ও সোজা করতে সাহায্য করে।