দুঃস্বপ্ন (Nightmares)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

লক্ষণটি ভয়ঙ্কর স্বপ্ন হিসেবেও পরিচিত।

 

দুঃস্বপ্ন বলতে অপ্রীতিকর স্বপ্নকে বোঝায়, যা একজন ব্যক্তির মানসিক অবস্থার উপর তীব্র মাত্রায় প্রভাব সৃষ্টি করে। দুঃস্বপ্ন দেখার ফলে  প্রচণ্ড ভয়, হতাশা, উদ্বিগ্নতা ও দুঃখ বোধ হতে পারে। এই ধরনের স্বপ্নে  মানসিক বা শারীরিক ভয়, অস্বস্তি ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী ঘটনা দেখা যায়। সাধারণত দুঃস্বপ্ন দেখার পর একজন ব্যক্তি মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠে, এবং দীর্ঘ সময় ধরে তার ঘুমাতে অসুবিধা হয়ে থাকে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

বিবাহ, ডিভোর্স বা গর্ভধারণের মতো বিষয়গুলি দুঃস্বপ্ন দেখার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। বিষন্নতা ও উদ্বিগ্নতার চিকিৎসার জন্য গ্রহণকৃত সিলেকটিভ সেরোটোনিন রি- আপটেক ইনহিবিটরস্‌ [এস-এস-আর-আই-এস (SSRIs)](selective serotonin reuptake inhibitors) ও কিছু খাদ্যগ্রহণ করলেও দুঃস্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া ট্রমাসৃষ্টিকারী কোনো বিষয়ের জন্যও এই সমস্যা হতে পারে, যেমন- ধর্ষণ।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ:  নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাত: কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: এ ব্যাপারে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

উত্তর: দুঃস্বপ্ন দেখার চিকিৎসা এর মূল কারণের উপর নির্ভর করে।

রাতে খারাপ খাবার খাওয়া, পি-এস-টি-ডিয়ের( ptsd) লক্ষণ বা বাইপোলার ডিজঅর্ডারের ( antipsychotics) কারণেও দুঃস্বপ্ন দেখার সমস্যা হতে পারে। পি-এস-টি-ডিয়েল ক্ষেত্রে সাইকোথেরাপি বেশি কার্যকর, বিশেষত কগনিটিভ বিহ্যাভিয়ার থেরাপি( cognitive behavior therapy)। কিছু উচ্চ রক্তচাপ প্রশমণকারী ঔষধও এক্ষেত্রে কাজে দিতে পারে। বাইপোলার ডিজঅর্ডারের ক্ষেত্রে অ্যান্টিসাইকোটিক (antipsychotics) গ্রহণ করলে উপকার পাওয়া সম্ভব।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনুসরণ করে দুঃস্বপ্ন দেখার সমস্যা প্রতিরোধ করা যেতে পারে-

  • রাগান্বিত বা ক্লান্ত অবস্থায় ঘুমাতে যাবেন না। মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য কিছুটা অপেক্ষা করুন।
  • নিয়মমাফিক ঘুমানোর অভ্যাস করুন (ছুটির দিনেও)।
  • ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে খাদ্য গ্রহণ করবেন না। বিশেষত, মাংস ও মাখনের মতো যেসব খাদ্যগুলি হজম করতে বেশি সময় প্রয়োজন, সেগুলি গ্রহণ করলে দুঃস্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
  • অ্যালকোহাল ও ক্যাফেইনযুক্ত দ্রব্য এড়িয়ে চলুন।