সমাজ বিরোধী আচরণ (Antisocial behavior)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

একজন ব্যক্তির এমন কিছু আচরণ বা কার্যকলাপ (ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত) যা দ্বারা সমাজের অন্যান্য মানুষের ক্ষতি হয়ে থাকে সেসকল আচরণকে অসামাজিক আচরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এগুলো সামাজিক কার্যকলাপ ও নিয়মনীতির ঠিক বিপরীত হয়ে থাকে যেমনঃ খুন, ধর্ষণ, অবৈধ মাদক দ্রব্যের ব্যবহার ইত্যাদি। আবার সমাজের নিয়মবহির্ভূত ও অবৈধ কার্যকলাপ যা সমাজে বসবাসকারী অন্যান্যদের কাছে আপত্তিজনক ও রুচিবিরোধী (যেমনঃ অতিরিক্ত মদ্যপান), সেগুলো অসামাজিক আচরণের মধ্যে পড়ে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

অসামাজিক আচরণের সঠিক কারণ নির্দিষ্টভাবে বলা যায় না। তবে বিভিন্ন কারণে এর ঝুঁকি বাড়তে পারে। যেমনঃ

  • শৈশবে আচরণগত কোনো সমস্যা থাকলে।
  • শৈশবকাল অস্থিতিশীল ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ হলে।
  • পরিবারের অন্য কেউ অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকলে।
  • পারিবারিক ঝামেলা বা ডিভোর্সের কারণে শৈশবে বাবা-মা থেকে দূরে সরে গেলে।
  • শৈশবে শারীরিক নির্যাতন বা যৌন হয়রানির শিকার হলে।
  • পরিবারের অন্যকেউ বা ব্যক্তি নিজে মাদকদ্রব্য ব্যবহার করলে।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ কম।

হেলথ টিপস্‌

সুস্থ জীবনযাপন, পারিবারিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের সাহায্যে ব্যক্তি অসামাজিক আচরণ ও কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকতে পারে। শৈশবে বা বয়ঃসন্ধিকালে এ সমস্যা দেখা দিলে বাবা-মায়ের উচিৎ বন্ধুসুলভ আচরণ প্রদর্শন করা ও সর্বাত্মক সযোগিতা করা যাতে সে নিজেকে একা না ভাবে। খেয়াল রাখতে হবে আপনার সন্তান এই সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে যাতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত এমন ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করে এবং পরিবার থেকে দূরে সরে না যায়। এক্ষেত্রে পরিবারের বাইরের কারো বা চিকিৎসকের সহযোগিতার প্রয়োজন হলে এই ব্যাপারে সংকোচবোধ করা যাবে না।