ঠাণ্ডা অনুভব করা (Feeling cold)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া বা স্বাভাবিকের তুলনায় শরীরের শীতলতা বেশি অনুভূত হওয়াকে  ঠাণ্ডা অনুভব করা বলা হয়। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা বেশি হলেও ঠান্ডা অনুভূত হতে পারে। জ্বর বা সর্দি হলে সাধারণত এ ধরনের অনুভূতি হয়। এছাড়া স্বাভাবিকের তুলনায় একজন ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা বাস্তবে কম হলে [হাইপোথারমিয়া (hypothermia)] বা ঠাণ্ডা পরিবেশে যাওয়ার ফলেও তার ঠাণ্ডা লাগার অনুভূতি হতে পারে। কিছু ব্যক্তির ঠাণ্ডা সহ্য করার ক্ষমা কম থাকে, ফলে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পরিবেশেও তাদের ঠাণ্ডা অনুভূত হয়।  কিছু ক্রনিক (দীর্ঘস্থায়ী ও বারবার দেখা দেয়) শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত ও কম মেদযুক্ত ব্যক্তিদের এই সমস্যা  বেশি হয়ে থাকে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন:

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যে সকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ঠান্ডা লাগার অনুভূতি হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে:

  • ঔষধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া।
  • অ্যানিমিয়া (Anemia)।
  • অ্যানোরেক্সিয়া (Anorexia)।
  • উদ্বিগ্নতা।
  • ক্রনিক/সুপ্ত ইনফেকশন।
  • ডায়াবেটিস টাইপ ২।
  • প্যানিক অ্যাটাক (Panic Attacks)।
  • সিজোনাল অ্যাফেকটিভ ডিজঅর্ডার।
  • যক্ষ্মা।
  • লো অ্যাড্রেনাল ফাংশন(Low Adrenal Function)।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যে এই লক্ষণ দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

জাত: শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে। হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: না, ঠান্ডা লাগার অনুভূতি হওয়া লিউকোমিয়ার কোনো প্রধান লক্ষণ নয়।

উত্তর: ডাইরিয়ার কারণে পানিশূন্যতা হওয়ার ফলে এমন অনুভূতি হতে পারে। এই সমস্যা দেখা দিলে আক্রান্ত ব্যক্তির স্যালাইন, প্রোবায়োটিক ও চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। এরপরও সমস্যা দূর না হলে তার ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ (inflammatory bowel disease) বা পুষ্টি শোষণ প্রক্রিয়ায় সমস্যা আছে কীনা, তা বোঝার জন্য পায়খানা পরীক্ষা করে দেখা উচিৎ।

হেলথ টিপস্‌

ঠাণ্ডা অনুভব করা প্রশমিত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো শরীর গরম করে এমন কাপড় পরা। এয়ার কন্ডিশনার থাকলে ঘরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিন। মানসিক উদ্বিগ্নতার কারণেও যদি ঠাণ্ডা হওয়ার অনুভূতি হয়, তাহলেও শরীরের গরম করার চেষ্টা করা উচিত।

আপনার ঘন ঘন নিঃশ্বাস হওয়ার সমস্যা থাকলে নিঃশ্বাস এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ  করতে চেষ্টা  করুন যাতে শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা ঠিক থাকে।

সর্দি ও কাঁপুনি হলে সুস্থ না হওয়া অব্দি অপেক্ষা করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই।