সাধারণ অর্থে হিস্টেরিয়া (Hysteria) বলতে নিয়ন্ত্রণহীন ও মাত্রাধিক
আবেগ/অনুভূতিকে বোঝায়। হিস্টেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির মনে পূর্বের কোনো
ঘটনা দ্বারা সৃষ্ট ভয়/ভীতি প্রকট আকার ধারণ করে ও সে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ
হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেকে রোগগ্রস্থ বলে কল্পনা করতে
থাকে, আবার কখনও কখনও শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অঙ্গে সমস্যা আছে বলে মনে
করে। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষজ্ঞরা হিস্টেরিয়া শব্দটি ব্যবহার না করে
এই সমস্যাকে সোমাটাইজেশন ডিজঅর্ডার (somatization disorder) (কোনো জৈবিক
কারণ ছাড়াই একাধিক লক্ষণ বারবার দেখা দেওয়া) হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন।
হিস্টেরিয়া মূলত একটি মানসিক সমস্যা। এই মানসিক সমস্যা শারীরিক সমস্যাতে
রূপান্তরিত হলে এর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। নির্দিষ্ট কিছু কারণে এ লক্ষণ
দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। সেগুলো হলো:
পরিবারের অন্য কোনো সদস্য হিস্টেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়া।
শৈশবে যৌন হয়রানির শিকার হওয়া।
দৈনন্দিন জীবনে অত্যাধিক কাজের চাপ থাকা।
আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিম্নমানের হওয়া।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা
সম্ভাবনা রয়েছে। শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার
সম্ভাবনা ১ গুণ কম।
হেলথ টিপস্
সাইকোথেরাপির সাহায্যে হিস্টেরিয়া বা উন্মত্ত আচরণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ
করা সম্ভব। আগে থেকেই কোনো ব্যক্তি হিস্টেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে এ সমস্যা
সম্পর্কে তার ভালোভাবে জানতে হবে। সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য আক্রান্ত
ব্যক্তিকে অন্যদের যথাযথভাবে সহায়তা করতে হবে।