এ অবস্থায় ঠোঁটে ঘা, পিণ্ড বা ক্ষত দেখা যায়। কখনো কখনো এই ঘা ফেটে যায়,
রক্তক্ষরণ হয় এবং ক্ষতের উপরিভাগ শক্ত হয়ে যায়। এই ঘা দেখতে লাল হয়। এর
কারণে ঠোঁট ফুলে যায় এবং ব্যথা হয়। বিভিন্ন কারণে ঠোঁটে ঘা হতে পারে। কামড়
লাগলে বা গরম খাবারের কারণে ঠোঁটে ঘা হতে পারে। আবার হারপিস সিমপ্লেক্স
ভাইরাসের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে।
যাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার
সম্ভাবনা বেশি। নিম্নে লিখিত কারণে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়:
এইচ-আই-ভি/ এইডস।
অ্যাকজিমা।
গুরুতর ভাবে পুড়ে যাওয়া।
ক্যান্সার কেমোথেরাপি।
অরগান ট্রান্সপ্ল্যান্ট এর জন্য অ্যান্টি-রিজেকশন ঔষধ ব্যবহার।
যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে
লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতি:
শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। কৃষ্ণাঙ্গ,
হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা
সম্ভাবনা রয়েছে।
হেলথ টিপস্
এই সমস্যাটি ছোঁয়াচে এবং এটি শারীরিক স্পর্শের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে
অন্য ব্যক্তিতে কিংবা ঠোঁট থেকে দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকে। তাই ঠোঁটে
ঘা হয়েছে এমন ব্যক্তির সাথে শারীরিক সম্পর্ক এড়িয়ে চলতে হবে। হাত সবসময়
পরিষ্কার রাখতে হবে। এ অবস্থায় গরম, মশলাযুক্ত ও টকজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত
নয়। লবণ পানি বা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গড়গড়া করতে হবে এবং অ্যাসিটামিনোফেন
জাতীয় ঔষধ খেতে হবে।