সাইকোসেক্সুয়াল সমস্যা (Psychosexual disorders)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মানসিক সমস্যার কারণে কোনো  ব্যক্তির যৌনজীবনে সমস্যা দেখা দিলে তাকে সাইকোসেক্সুয়াল ডিজঅর্ডার বলা হয়। এক্ষেত্রে কয়েক ধরনের ত্রুটি দেখা দিতে পারে, যেমন-  সেক্সুয়াল ডিসফাংশন (যৌনাকাঙ্ক্ষা হ্রাস পাওয়া, অর্গাজমের ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়া, যৌনমলনের সময় ব্যথা হওয়া ইত্যাদি), সেক্সুয়াল পার্ভারশন (যৌন বিকৃতি) এবং জেন্ডার আইডেন্টিটি ডিজঅর্ডার। এই সমস্যাগুলো কোন শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে নয়, বরং দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ বা অপরাধবোধের মতো মানসিক সমস্যা বা জটিলতার কারণে দেখা দেয়। এই ডিজঅর্ডারের লক্ষণগুলো লিঙ্গ ও বয়সভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে এবং বয়ঃসন্ধিকালে এর সূত্রপাত হয়। যথাযথ চিকিৎসার অভাবে একজন ব্যক্তি আজীবন এই সমস্যায় ভুগতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা থাকলে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-

  • উদ্বেগ, ভয়-ভীতি বা আতঙ্ক।
  • বিষণ্নতা।
  • যৌন হয়রানি বা ধর্ষনের শিকার হওয়া।
  • অপরাধবোধ।
  • মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা।
  • যৌনতা সম্পর্কে নিজের মধ্যে অনিশ্চয়তা কাজ করা।
  • শারীরিক গঠন নিয়ে অসন্তুষ্টি।

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সাইকোসেক্সুয়াল সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে-

  • প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অভাব।
  • অবসাদ ও অতিরিক্ত কাজের চাপ।
  • সন্তানসম্ভবা হওয়া।
  • বিষণ্নতা।
  • সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশন সম্পর্কে অনিশ্চয়তা।
  • সেক্সুয়াল পারফরমেন্স বা লিঙ্গের দৃঢ়তা নিয়ে মধ্যে উদ্বেগ কাজ করা।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ২ গুণ কম।

জাতিঃ কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। হিস্প্যানিক ও অন্যান্য জাতির মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ পারষ্পরিক সম্পর্ক ও যৌন জীবনে সমস্যা দেখা দিলে সাইকোসেক্সুয়ালথেরাপি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই থেরাপির মাধ্যমে রোগী নিজের সমস্যাগুলো সম্পর্কে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে কথা বলার সুযোগ পান। এর ফলে সে সমস্যার মূল কারণ ও জটিল দিকগুলো বুঝতে পারেন। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একটি ট্রিটমেন্ট প্রোগ্রাম ডিজাইন করা হয়। এই প্রোগ্রামে কাউন্সিলিংসহ একজন ব্যক্তির নিজস্ব বিশ্বাস ও মূল্যবোধ পুনরায় বিশ্লেষণ করার সুযোগ দেওয়া হয়।