ঘ্রান বা স্বাদ নিতে সমস্যা (Disturbance of Smell or Taste)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

স্বাদের সমস্যার কারণে কোনো খাদ্য গ্রহণ করলে একজন ব্যক্তির সেই খাদ্যে বিদ্যমান নয় এমন স্বাদ গ্রহণের অনুভূতি হতে পারে । এছাড়া এই সমস্যার কারণে একজন ব্যক্তির স্বাদের পার্থক্য বুঝতে অসুবিধা হতে পারে, বা তার স্বাদের অনুভূতি লোপও পেতে পারে।

ঘ্রাণ নেওয়ার সমস্যার কারণে ঘ্রাণের অনুভূতি লোপ পেতে পারে, বা যে দ্রব্যের যেমন ঘ্রাণ তা থেকে ভিন্ন ধরনের ঘ্রাণ পাওয়ার অনুভূতি হতে পারে। পূর্বে ভালো লাগা কোনো ঘ্রাণ এই সমস্যার কারণে খারাপ লাগতে পারে।

ঠাণ্ডা লাগা ও মাথায় আঘাতের মতো বিভিন্ন ধরনের রোগ ও শারীরিক ক্ষতির কারণে ঘ্রাণ বা স্বাদ নিতে সমস্যা হতে পারে। কিছু ঔষধও ঘ্রাণ ও স্বাদকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেশিরভাগ ব্যক্তির ঘ্রাণ ও স্বাদ গ্রহণের ক্ষমতা কিছুটা কমে আসে। এই সমস্যার চিকিৎসা সমস্যার ধরন ও কারণের উপর নির্ভরশীল।

  

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে, যেমন:

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো:

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পরতা সম্ভাবনা থাকে। নারীদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাত: কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম। শ্বেতাঙ্গ ও অন্যান্য জাতির মানুষের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা থাকে।

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তর: সাধারণত নাকের রোগ, সাইনাসের রোগ, আপার রেসপিরেটোরি ট্রাক্ট ইনফেকশন (upper respiratory tract infection) ও হেড ট্রমার কারণে ঘ্রাণের  অনুভূতি লোপ পায়। অপরদিকে  কৃত্রিম দাঁত, মুখের কোনো রোগ ও বেলস্‌ পালসি (Bell’s palsy)-এর কারণে স্বাদের অনুভূতি লোপ পেতে পারে।  এছাড়া  কিছু কিছু ঔষধ গ্রহণের ফলস্বরূপ ঘ্রাণ ও স্বাদের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

উত্তর: নাসারন্ধ্রে আবদ্ধতা হওয়ার কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবে স্বাদ গ্রহণের জন্য  নাক আবদ্ধতামুক্ত অবস্থায় থাকা প্রয়োজন। কিছু অ্যান্টিবায়োটিকও স্বাদ ও ঘ্রাণের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

হেলথ টিপস্‌

জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনে স্বাদের অনুভূতি স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব। আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন, তাহলে খাদ্যের স্বাদ ঠিকমতো পাওয়ার জন্য ধূমপান ত্যাগ করুন। কোনো ব্যক্তি ধূমপান ত্যাগ করার দুই দিন পরেই তার স্বাদের অনুভূতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। মুখের ভিতরের অংশ ঠিকমতো পরিষ্কার রাখলেও স্বাভাবিক স্বাদ ফিরে আসতে পারে।

জিনজিভাইটিস (Gingivitis) দাঁতের মাঢ়ির রোগের প্রাথমিক অবস্থা। মাঢ়ির প্রান্তে প্লাক থেকে গেলে মাঢ়ির রোগ হতে পারে। ঠিকমতো ব্রাশ ও ফ্লসিং করার মাধ্যমে প্লাক পরিষ্কার করে আপনি দাঁত ও মুখের সুরক্ষা করার পাশাপাশি স্বাদের অনুভূতি স্বাভাবিক করতে পারেন।