অতিরিক্ত ক্ষুধা (Excessive appetite)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

হঠাৎ করে খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে গেলে বা পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যগ্রহণের পরও ক্ষুধা নিবারণ না হলে তাকে অতিরিক্ত ক্ষুধা বলা হয়। এটি ভোর‍্যাশাস এ্যাপাটাইট (Voracious Appetite) এবং পলিফ্যাজিয়া (polyphagia) নামেও পরিচিত।

এ অবস্থায় ব্যক্তি দেহের চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ করে থাকে। সাধারণত পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যগ্রহণের সাথে সাথে আমাদের ক্ষুধা নিবারণ হয়। আবার, শারীরিক পরিশ্রমের পর ক্ষুধার মাত্রা বেড়ে যায় যা খাদ্যগ্রহনের মাধ্যমে মিটে যায়। তবে দীর্ঘসময় ধরে অতিরিক্ত ক্ষুধার সমস্যা দেখা দিলে তা যেকোনো গুরুতর অসুখ যেমনঃ হাইপার থাইরয়েডিজম ও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। এ অবস্থায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-   

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়

যেসকল কারণে এ লক্ষণ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় সেগুলো হলোঃ

  • জেনেটিক কারণে,
  • পরিবেশগত কারণে যেমনঃ ব্যক্তির বাসস্থান,
  • দৈনন্দিন খাদ্যাভাস যেমনঃ খাদ্যে ভিটামিন ডি এর পরিমাণ কম থাকলে।
  • ভাইরাল অ্যাটাক।

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে, পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ ও হিস্পানিকদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জাতির ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ। অপরদিকে, কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা একগুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

উত্তরঃ কিছু কিছু ক্ষেত্রে, যেমনঃ ক্লেইন-লেভিন সিন্ড্রোম (Kleine-Levin Syndrome) দেখা দিলে অতিরিক্ত ক্ষুধার কারণে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্যান্য ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্যক্তির ওজনের কোনো পরিবর্তন হয় না, বরং মাঝে মাঝে অতিরিক্ত ক্ষুধা থাকার পরও ব্যক্তির ওজন হ্রাস পায়। বিশেষ করে অতিরিক্ত ক্ষুধার সাথে যদি দেহের মেটাবলিক রেটও বেড়ে যায় তবে ওজন কমতে থাকে। হাইপারথাইরয়েডিজম (hyperthyroidism) হলে এমনটি হয়ে থাকে।

হেলথ টিপস্‌

এ সমস্যা সাধারণত প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে এ সমস্যা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এক্ষত্রে চিকিৎসকের পরামর্শানুযায়ী ঔষধ খেতে হবে ও নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে।