মুখ দিয়ে রক্ত পড়া (Bleeding in mouth)

শেয়ার করুন

বর্ণনা

মুখের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্তক্ষরন হতে পারে তবে নির্দিষ্ট কোন জায়গা থেকে রক্তক্ষরন হচ্ছে তা নির্ধারন করা জরুরী। ঠোট এবং মুখে আঘাত লাগার কারনে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রধানত এটা তেমন কোনো মারাত্নক সমস্যা নয়, তবে যদি আঘাতের মাত্রা তীব্র হয় তাহলে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এর পাশাপাশি রক্তবমি, কাশির সাথে রক্ত ওঠা, পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরন, নাক ও গলা দিয়ে রক্ত পড়া এবং মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। উল্লেখিত লক্ষনগুলোর মধ্যে বেশিভাগই মারাত্বক আকার ধারন করে, সেজন্য এই সকল লক্ষন দেখা দেওয়া মাত্রই চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।

কারণ

বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ যেমন-        

সংশ্লিষ্ট লক্ষণসমূহ

এই লক্ষণের সাথে অন্যান্য যেসকল লক্ষণ দেখা যেতে পারে সেগুলো হলোঃ

যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে

লিঙ্গঃ পুরুষদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ১ গুণ কম।

জাতিঃ শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৩ গুণ কম।

সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ মুখ থেকে রক্ত পড়ার পর তা গিলে ফেললে কোন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয় না। রক্ত বিশ্লেষিত হয় এবং পাকস্থলী ও পরিপাকনালীতে হজম হয়ে যায়। ব্যক্তি যদি অনেক রক্ত গিলে ফেলে তবে বমি হতে পারে বা মলের বর্ণ কালো বা গাঢ় লাল বর্ণ ধারন করে।

হেলথ টিপস্‌

নিম্নলিখিত পন্থা অবলম্বন করে এই লক্ষণ প্রতিরোধ করা সম্ভবঃ

  • দুই ঘন্টা পর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে।
  • শক্ত ক্যান্ডি বা চকোলেট খাওয়া যাবে না।
  • খাওয়ার পর ব্রাশ করতে হবে।
  • যেসব খাবারে প্রোটিন ও ক্যালরি বেশি থাকে, সেসব খাবার খেতে হবে।
  • গরম পানীয় যেমন- চা, কফি এড়িয়ে চলতে হবে।
  • ঠোঁটের মসৃণতা বজায় রাখতে ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
  • অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষধ এড়িয়ে চলতে হবে।